বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন Sète পদ্মা বলে, চাদিকে পূজার সমারোহ সুরু হয়েছে। দেশের এই অবস্থায় পূজায় হৈ চৈ করা কি উচিত ? সাধন বলে, আপনি আমি অনেকক্ষণ তর্ক করে নয় ঠিক করব এটা উচিত কি অনুচিত । তাতে কি আসবে যাবে ? লোকে ওসব উচিত অনুচিত ভাববে না। যতটা পারে পূজার সময় আনন্দ করবে। ঃ সে চেতনা এখনো আসে নি লোকের ? ঃ কোন চেতন ? : দেশের লোকের ভাত নেই, কাপড় নেই, অনাচার অত্যাচারের সীমা নেই-এ অবস্থায় পূজার আনন্দে মাতা উচিত নয় ?

যাদের নেই তারাই তো মাতিছে ? নতুন কাপড় না পারুক, একটা গামছা কিনবে। তাও না পারে ছেড়া কাপড় পরে ঘুরে ঘুরে অন্ততঃ কদিন প্ৰতিমা দেখে বেড়াবে ।
পূজো পয়সাওয়ালা লোকেরা করে, ওরা করে না। আমি পয়সাওয়ালা লোকের কথা বলছি ।

একটু থেমে পদ্মা বলে, আপনার বাবার সমালোচনা করছি ভাববেন। না। কিন্তু, সাধারণভাবে সকলের কথাই বলছি।

পূজোটা সকলেই চায়। একজন পয়সাওয়ালা না পারে, দশজনে চান্দা তুলে করে। এর মধ্যে উচিত অনুচিতের প্রশ্ন টানা যায় না। একটা আন্দোলন যদি করতে চান সে আলাদা কথা-কিন্তু লোকে

আপনার আন্দোলন ওভাবে নেবে না । না খেয়ে লোক মরছে, এবার পুজো বন্ধ থাক, কিম্বা এবার আমোদ-প্ৰমোদ বাদ দিয়ে সাদামাটা পুজো হোক-এ কথা বললে লোকে ধরে নেবে না খেয়ে মরার বিরুদ্ধে আপনি আন্দোলন করছেন। না খেয়ে মরার সঙ্গে পূজার আনন্দের কোন সম্পর্ক নেই। লোকে না খেয়ে মরছে সেটা অন্যায়, এ অন্যায়ের