বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆՏԳ नदिखनौन প্ৰতীকারের জন্য দরকার হলে জেল খাটতে পারি, প্ৰাণ দিতে পারিপূজার ফুর্তি বাদ দিতে যাব কেন ? আনন্দ বাদ দিয়ে সবাই মিলে মুখ গোমড়া করে থাকলেই কি দেশের সমস্যার মীমাংসা হয়ে যাবে? আপনি কথাটা বলছেন ঘরোয় হিসাব থেকে। বাড়ীতে একজনের কঠিন অসুখ হলে হাসাহাসি বন্ধ থাকে। কিন্তু পরিবার আর সমাজে অনেক তফাৎ । পরিবার প্রথা না থাকলেও সমাজ থাকতে বাধা নেইবাধা নেই কেন, সমাজ থাকবেই। পদ্মা গালে হাত দিয়ে বলে, আপনি নাকি কথাই বলেন না, চুপ করে থাকেন । এই নাকি তার নমুনা ? সাধন হেসে বলে, আপনি বললেন* বুঝেছি, বাজে কথা বলেন না। বাক্-সংযমী মানুষ! সাধন মৃদু একটু হাসে। বোঝা যায় সে আবার চুপ হয়ে গেছে। পদ্মা বলে, আজ থেকে আমরা বন্ধু, কেমন ? সাধন মাথা হেলিয়ে সায় দেয়। মুখেও বলে, বেশ তো ! কেবল লক্ষ্মীর নয়। তার মত যারা নিয়ম-নীতির ধরা-বাধা পথে বঁাচতে চায়, বড় হবার আর বড় কিছু করার ইচ্ছাটাকে স্বপ্ন করে রেখে খানিকটা সুখ-সুবিধা আরাম বিলাস নিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারাই ষথেষ্ট মনে করে, চেনা-জানা এরকম সমস্ত মানুষের সঙ্গ ক্ৰমে ক্ৰমে যেন अनश् श्रम टीछ अंशांब्र । আত্মীয়স্বজন পৰ্য্যন্ত । সে অনুভব করে, এরা শুধু নিজের কথা ভাবে, নিজের আরাম বিলাসের চিন্তাতেই এরা ব্যাকুল।