পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जार्दछनौन SRR নিয়মনীতি অনিয়ম কৃত্রিমতার চাপ যেন পদ্মাকে জোর করে। এইভাবে কান্তিলালের সঙ্গে ভাব করায় । সংঘাতের পীড়নে জর্জরিত কঁাচা মনটা কিছুক্ষণের জন্য মুক্তি পায়। পরমেশ্বর বলে, এসে মা, এসে । আজ যেন বেশ তাজা তাজা লাগছে মাকে আমার !

আপনার সঙ্গে গল্প করতে এলাম। কিনা তাই। হাসি মুখে কথাটা বলেই পদ্মার মনে খটকা লাগে, বলা কি উচিত হল কথাটা ? কে জানে পরমেশ্বর ভাবছে কিনা যে ছুড়িটা আমার সঙ্গে ইয়ারকি দিচ্ছে !

পরমেশ্বরকে বশ করা বা আঘাত করার কোন সাধটাই আর বাস্তব বা সম্ভব মনে হয় না। এখন । কি রকম কথাবার্তা চালচলন তার পছন্দ কে জানে! কি করলে মনে মনে খুনী হয়ে সে তার প্রশংসা করবে: তাই যে তার জানা নেই । একা এমনি ভাবে এসেছে বলেই হয় তো পরমেশ্বর যা তা ভাবছে তার সম্বন্ধে ! আঘাত করা ? অবজ্ঞা আর অপমানে বুকের মধ্যে জালা ধরিয়ে qťNS ? নিজের বুকটাই জ্বালা করে পদ্মার। এই মানুষটাকে অবজ্ঞায় কাবু করার সাধ্যই যদি তার থাকত এমন ব্যাকুল হয়ে সে যেন ছুটে আসত গায়ে পড়ে একে অবজ্ঞা করতে ! এটাই কি প্রমান নয় যে সত্যই সে ছ্যাবলা মেয়ে ? তবু কথা কইতে হয়, মুখ গোমড়া করে চুপ করে থাকলে আরও বিশ্ৰী হবে। বুঝতে পারে এলোমেলো আবোল তাবোল কথা কইছে, তবু যেন থামতে পারে না।