SRG: সাৰ্বজনীন মাজতে বসেছে। ওরা দুজনে মাজছে ডেকচি গামলা থালা বাটি, সে শুধু মাজছে পুজার জন্য দরকারী কয়েকটি তামার পাত্ৰ । ধীরে ধীরে সমীর কাছে গিয়া দাড়িয়েছিল। ; এ আবার কি সখি ? সখি ? এগুলো পড়ে থাকে, জং ধরে গেছে । অনেক কায়দা করে মাজতে হয়। একেবারে নতুনের মত চক্চক্ না করলে বাবা রক্ষা রাখবে না । সেদিনও সমীর বুঝতে পারেনি। উৎখাত হয়ে এলেও কত সমারোহের সঙ্গে মহেশ্বর পূজার আয়োজন করছে। পূজোর দিন তিনেক আগে সে আশ্চৰ্য্য হয়ে গিয়েছিল । সেদিন সুরমা বিশেষভাবে তাকে নিমন্ত্রণ করেছিল, পুজোর দিন নিশ্চয় আসবেন কিন্তু ‘’। না এলে রাগ করব। পূজোর দিন বিকালে এসে পূজা মণ্ডপে বেঞ্চে প্ৰায় ঘণ্টাখানেক বসে থেকে সে সব লক্ষ্য করে। পাড়ার লোকের আনাগোনা, সকলকে মহেশ্বরের অভ্যর্থনা, পাড়ার ছেলেমেয়েদের ভিড় করে দাড়িয়ে আনন্দের কলরব তোলা-প্ৰতিমা, পূজার আয়োজন আর সুসজ্জিত পূজামণ্ডপ । সে ভাবে, এত বড়লোক ছিল মহেশ্বর ? এত টাকা সে নিয়ে এসেছে? খুব বেশী পরিমাণে টাকা না থাকলে তো আয়ের ব্যবস্থা বন্ধ হবার পর জমানে টাকা থেকে মানুষ এত খরচ করতে পারে না। পুজার জন্য ! ছোট একটি ছেলে এসে সমীরকে জানায়, ভিতরে তাকে ডাকছে। ভিতরে যেতেই সুরমা বলে, বসুন, চা দিচ্ছি। সারাদিন থাকতে হবে, একেবারে রাত্রে খেয়ে যাবেন ।
- রাত্রেই বা যাব কেন ? থাকলে চলবে না ?