পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSS) जॉदखनौन ৪ কি রকম ? ১. তুমি টাকার মৰ্য্যাদা জান না। বি,এ পাশ করেই ও সুযোগ পেল মাসে মাসে তিনশ’ টাকা রোজগারের-সঙ্গে সঙ্গে সুযোগ নিয়ে নিলে। নইলে কি হতা? আরও দু’বছর ঘরের পয়সা খরচ করে এম.এ পড়ত। দু’টি বছর সময় নষ্ট, পয়সা নষ্ট। তিনশ’ টাকার চাকরী নিয়ে ভাল করে নি ? কিন্তু তবু পঙ্কজ মানে বুঝতে পারে না তার চাকরী করার। চাকরী করার বদলে ছোটখাট একটা দোকান দিয়ে বসলে বরং সে বিশ্বাস করতে পারত যে সমীর দোকানদার থেকে ব্যবসাদার হবার সঠিক পথ ধরেছে। প্ৰতিমার মধ্যে কেমন একটা অস্থিরতা, উন্মনা ভাব দেখা যাচ্ছিল। মেজাজটা যেন এলোমেলো হয়ে উঠছিল তার। পূজার সময় পঙ্কজ দুটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সবিতার গান গাইবার ব্যবস্থা করে দেয় । নতুন যে গান শিখেছে সে গান নয়। তার বাপের রচিত পূর্ব বাঙ্গালার গ্ৰাম্য গান। গান শুনিয়ে সবিতা জীবনে প্ৰথম রোজগার করে, দু'টি আসর থেকে কড়াকড়ে পঁচিশটা টাকা । পঙ্কজ বলে রেখেছিল। কিন্তু অনুষ্ঠান দু’টির উদ্যোক্তাদের মনে যথেষ্ট খটকা ছিল। সবিতা গান গাওয়ার পর খুন্সী হ’য়ে তারা গানের দাম দিয়েছে টাকার পরিমাণটা কম বলে লজ্জিতভাবে সবিতাকে বলেছে সে যেন কিছু মনে না করে ! প্রথম আসরে দু:খানা গানের জন্য দশটাকা দিয়েছিল। ferð আসরেও দশটাকা মজুরিতে তার দু’খানা গান গাওয়ার কথা ছিল। শ্ৰোতাদের দাবীতে আরেকটা গান গাইতে হয়। দশটাকা পেলেই সে