পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

15\9Gł মািৰ্বজনীন f পরমেশ্বরের পা জড়িয়ে ধরে বলে, আমাকে সবাই এমন তুচ্ছ করে কেন বলত ? পরমেশ্বর তার মাথায় একটা চাটি মেরে বলে, তুই পরে বড় হবি তাই তোকে আজ তুচ্ছ করে। প্ৰতিমা উঠে বসে। আঁচল খসে গেছে, ব্লাউজ ফেঁসে গেছে । পরমেশ্বর বলে, থাক থাক, লজা পেতে হবে না। অত। তোকে আমি ন্যাংটাে দেখেছি। সুরমাটা বোকা-ওর অদৃষ্ট অনেক দুঃখ আছে। কিন্তু দুঃখ পেয়ে পেয়ে ও সামলে উঠতে পারবে। তুই বঁকা পথে চলছিস, ডুবে যাবি বয়ে যাবি। তোর এই বিকারের চেয়ে বড় অভিশাপ মেয়েদের আর হয় না । এই ধিক্কারে সামলে গিয়েছিল প্ৰতিমা । ধীরে ধীরে উঠে বসে গায়ে আঁচল জড়িয়েছিল। আছড়ে পড়ার জন্য কপাল কেটে রক্ত পড়ছিল টের পেয়েই বুঝি মূহুর্জের মধ্যে মাথাটা কাত করেছিল । বঁদিকের কাণের উপরে মাথাটা কেটে গিয়ে-ফেটে যায়নি-ফোঁট ফোটা রক্ত পড়ছে। হাতে ওই রক্ত মাখিয়ে চুলটা ঠিক করতে করতে প্ৰতিমা বলেছিল,উs! তুমি যদি মরে যেতে জ্যাঠামশায়! আমরা একটু নিশ্বাস ফেলে। বঁচিতাম। পরমেশ্বর উচ্ছাসিত ভাবে হেসে উঠেছিল। আমাকে মেরে বঁাচতে চাস ? আমি মরব। তবে তুই বাচবি ? বেশ বুঝেছিস তো বাঁচার নিয়ম | প্ৰতিমা গায়ে পড়ে অপমান করার পর সবিতা গান শিখতে আসে না । দু'সপ্তাহে অসীম দু’বার এসে ফিরে যায়-তার একটি মাত্র বিনে পয়সায় শেখাবার ছাত্রী ও বাড়ীতে এসে তার কাছে বিনা পয়সায় গান শিখৰে না .