পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS तीव्र

করি না ? আমরা স্বাভাবিক মানুয়ে নাই ? ঃ সবটা কি স্বাভাবিক ? অনেক দিক দিয়ে আমরা অস্বাভাবিকও বাট তো !

B কেন ? : যুগটাই অস্বাভাবিক বলে। নরেশ মন দিয়ে শুনছিল। এবার সে জোর দিয়ে বলে, তাই কখনো হয়! একটা যুগ কখনো অস্বাভাবিক হতে পারে না। মানুষও কখনো অস্বাভাবিক হয় না-দু’চারজন যারা হয়, তারা রোগী । ইতিহাস একে-বেঁকে এগিয়ে চলে, যখন যে অবস্থা থাকে সেটাই স্বাভাবিক অবস্থা। তখন ইতিহাসের আঁকা-বঁকা গতি নিয়ে তাদের কয়েকজনের তর্ক সুরু হয়। রেশন মাপা হলে এক একজন থলি হাতে বিদায় হয়ে যায় । অন্যেরা এ ওর সঙ্গে নানা বিষয়ে এলোমেলো কথা সুরু করে। অসুখ-বিসুখ অভাব অসুবিধার কথা । জীবনে যত নালিশ জয়া হয়েছে তার কথা । দেখা যায়, পরমেশ্বর যে হাসির আবহাওয়াটা সৃষ্টি করে গিয়েছিল সেটা উপে গেছে। بیضایی छ्हे সুরঞ্জনদের একই বাড়ীতে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে। পরমেশ্বর নামে বিশেষ প্ৰকৃতির একজন মানুষ বাড়ীতে আছে এটা যেন তারা টেরও পায় না। তিনতলা বাড়ীতে আরও তিন দ্বারা ভাড়াটের সঙ্গে তারাও আছে, ওই তিন ঘর ভাড়াটের অস্তিত্ব তারা প্ৰতিদিন টেৱ পায় মৰ্মে মৰ্মে-ভাড়াটেদেরও অবশ্য মর্মে মৰ্মেই টের পাইয়ে দেয়-পরমেশ্বর