পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8) সাৰ্বজনীন সদাশিব আর কথা বলতে পারে না । মহেশ্বর বলে, এতকাল প্ৰতিবেশী ছিলেন, আপনারা মিথ্যে দুনাম ব্ৰটাচ্ছেন মানুষটার ! সদাশিব চটে লাল হয়ে বেড়াতে যায় । কিন্তু কথাটা তুচ্ছ করার মত নয়। সদাশিবকে মহেশ্বর মুখে যাই বলুক মনে মনে সে বিধুভুষণকে একেবারে রেহাই দিতে পারে না। তার আর্থিক দুরবস্থাব কথা জানলেও সমীরের চাকরীইত্যাদির হিসাব ধরে তার হাতে মহেশ্বর মেয়ে দিত। কিনা সেটা আলাদা কথা। বিধুভুষণ তো জানত যে তার অবস্থার হিসাবটাও মহেশ্বর ধরেছে সম্বন্ধ ঠিক कबद्ध गोभ । বালীগঞ্জে সে বাড়ী করবে। এ কথাটা আগে অন্যভাবে বললেও কথাটা ষে মহেশ্বর বাতিল করে নি এটাও তো খেয়াল ছিল বিধুভুষণের। বিধুভুষণ অন্যায় করেছে শুধু এটাই বড় কথা নয়। বিয়ে যখন হয়ে গেছে আর ফিরবে না । সুরমাকে কত কষ্ট ভোগ করতে হবে ভেবে সকলের দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না। মেয়ে জামাই ফিরে এলে মহেশ্বর সুরমাকে ব্যাপার জিজ্ঞাসা করে। সুরমা জানায় কথাটা মিথ্যা নয়। দেনার দায়েই এই বাড়ী বেচতে হয়েছিল বিধুভুষণকে এবং সম্প্রতি বাড়ী তৈরী করার সাধ্য তার নেই। তবে তার বড় ভাই ফণিভূষণের অবস্থা ভাল। তারা লোকও ভাল। তারা অবস্থার উন্নতি করার জন্য চেষ্টা করবে, সে সুযোগ দেবার জন্ত ফণিভূষণ দু’একবছর বিধুভুষণের পরিবারকে আশ্ৰয় দেবে। কেবল সমীরের আয়ের উপর নির্ভর করতে হবে না।