পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন S6 পারবে। নিজে হাজার আষ্টেক টাকা যোগাড় করেছে, ৰাকী টাকা ধার না পেলে একজনকে পার্টনার করে ব্যবসায়ে নামবে। তুমিই নেৰে १९s ना ? মহেশ্বর দুঃখ আর দুশ্চিন্তার মধ্যেও হাসে, তুই পাগল হয়েছিস সুরমা । এই বয়সে আমার ধাতে কি ওসব পোষায় ? সমীরের সঙ্গে ব্যবসায় নামা ? দুদিনে আমাদের মধ্যে ফাটাফাটি হয়ে যাবে। সাধন বলে, আমি নামতে পারি। তোর পড়াশোনা নেই ? : কি হবে পড়াশোনা করে? এই তো চাকরীর বাজার। পাশটাশ করে চাকরী যোগাড় করতে করতে তোমার হাতের টাকা যাবে ফুরিয়ে । তার চেয়ে রোজগারের চেষ্টায় নেমে পড়াই ভাল । ভবিষ্যতে দৃষ্টি চলে না-কি হবে জানা নেই, সব অন্ধকার। সব সময় চাপ দিচ্ছে এই দুর্ভাবনা । চব্বিশ ঘণ্টা নিদারুণ উৎকণ্ঠার পীড়ন চলেছে যে একটা কিছু করতেই হবে। একেবারে দুঃস্থ হয়ে যারা এসেছে তাদের এই বিশেষ দুর্ভাবনার বালাই নেই-নিঃস্ব হয়ে পথে বসার দুশ্চিন্তা আর তাদের করতে হয় না । গাছতলা আশ্রয় যে করেছে তার আর গাছতলা সার করার ভয় কি । কে জানে, সমীরের সঙ্গে ভাগ্য মেলালে হয়তো তাদের কপাল ফিরেও যেতে পারে | সমীরের উৎসাহ আছে, শেয়ারের কারৰারে বাপের অভিজ্ঞতারও সে অংশীদার । কিন্তু সাধন পড়া ছেড়ে দেবে-এটা ভাবতেও সকলের মন বড়ই খুত খুত করে। মহেশ্বর বলে পরমেশ্বরকে, সাধন তো পড়া ছেড়ে ব্যবসা করতে চায়-সামীরের সঙ্গে ।