পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sóሕoዓ সাৰ্বজনীন এসে না বাবা আমার কাছে। আমার আর সাধ্য নেই। এ বছর পুজো বন্ধ করেছি-পাড়ার লোকেরা চান্দা তুলে এ পুজো করছে। সমীর চুপ করে দাড়িয়েছিল। ৪ এবার এলে বাধ্য হয়েই তোমায় খালি হাতে ফিরিয়ে দেব। বিসর্জনের কয়েকদিন পরে আবার সমীরকে সামনে এসে দাড়াতে দেখে মহেশ্বরের শরীরটা অবসন্ন হয়ে আসে। এ ক’দিনেই আরও কদৰ্য্য কুৎসিৎ হয়ে গেছে তার চেহারা। কোটিরে বসা চােখে একটা অদ্ভুত বিমানো ভাব, মুখে ঘৰ্মাক্ত ক্লেদের মতই যেন ক্লান্তি মাখানে । মহেশ্বর প্রায় কাতর অনুনয়ের সুরে বলে, আবার কি চাও বাবা ? সেবার এত করে তোমায় বুঝিয়ে দিলাম যে আমি আর পারব না, তবু আবার তুমি এসেছ ? আমি নিজে একরকম ফকির হয়ে বসেছি, তোমাকে একটি পয়সা দেবার সাধ্যও আমার নেই। আগে কোনবার করেনি, এবার সমীর ধীরে ধীরে বুকে তার পায়ে হাত দিয়ে প্ৰণাম করে। বলে, আজ্ঞে, টাকা চাই না। আমি আজ টাকার জন্য আসিনি। নিজের কানকে যেন বিশ্বাস হয় না মহেশ্বরের ! কি বলছি ?

আপনার মেয়ের সঙ্গে একবার দেখা করতে চাই। ক'টা দরকারী

কথা আছে । মহেশ্বর ভাবে, কে জানে এ আবার কি নতুন চাল ? কে জানে আবার কি নতুন মতলব হাসিল করতে এসেছে সমীর ? মুখে বলে, সে তো তোমার সঙ্গে দেখা করবে না। বাবা।