বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন সমীর আবার বলে, আমি দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে দু’মিনিট কথা বলেই চলে যেতম । মহেশ্বর অসহায়ভাবে তাকায় । ভিতর থেকে সুরমার সুস্পষ্ট জবাব আসে ; আমি বিধবা হয়েছি । ভূতপ্রেতের সঙ্গে এক মিনিটও আমি কথা বলব না। সমীর চোখ তুলে চায়। কিন্তু সুরমাকে দেখতে পায় না। মাথায় ঝাকি দিতে গিয়ে সে যেন নিজের শীর্ণ দেহটাকেও বাকানি দেয়। ময়লা ছেড়া কাপড়ের খুঁট তুলে মুখে চাপা দিয়ে কয়েকবার কাসে । তারপর আবার মহেশ্বরের পায়ে হাত দিয়ে প্ৰণাম করে নীরবে ধীরে ধীরে চলে যায়। - কয়েক মিনিটের মধ্যে দু’দুবার পাষণ্ড অমানুষ জামায়ের প্রণাম পেয়ে মহেশ্বর হতভম্ব হয়ে বসে থাকে । দুদিন পরে পদ্মাকে এ বাড়ীতে দেখা যায়। প্ৰায় দু’বছরের উপর সে এ পাড়ায় আসেনি। আজও সে আসে দামী গাড়ীতে চেপে এবং সে গাড়ী চালিয়ে নিয়ে সেই আগেকার ডুইভার কান্তিলাল । বিধুভুষণের অবস্থা কি ফিরেছে। আবার ? আবার সে বাড়ী করেছে, গাড়ী কিনেছে ? পদ্মাকে দেখে সত্যই অবাক হয়ে যায় পাড়ার মানুষ এবং এ বাড়ীর মানুষ । এবার তার সিথিতে সিঁদুর, মাথায় ঘোমটা । W মহেশ্বরের মেয়েকে বিয়ে করে সমীর অধ্যাপাতে গিয়েছে বলে এতই