পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মার্বিজনীন So 0 চটেছে বিধুভুষণ যে মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে নিমন্ত্রণ করা দূরে থাক একটা খবর। পৰ্য্যন্ত দেয়নি ছেলের শ্বশুর বাড়ীতে । পরমেশ্বর বলে, এসো মা এসো। মায়ের আমার নতুন মূৰ্তি দেখছি! হাসিমুখে আগের সুরেই সে অভ্যর্থনা জানায় কিন্তু পদ্মার কানে যেন, অনেক নীরস প্ৰাণহীন ঠেকে তার কথার সুর। সুরমা ননদকে জিজ্ঞাসা করে, তোমার সি থিতে সিঁদুর উঠল কবে ? পদ্মা বলে, বছর দেড়েক হবে । আমি একটা খবর পেলাম না কেন ? ভারি তো বিয়ে তার আবার খবর ! নিজের বিয়ের ব্যাপার যেন তুচ্ছ করে উড়িয়ে দিয়ে প্রসঙ্গটাই পদ্মা চাপা দিতে চায়। প্ৰায় একসঙ্গেই বলে, আমি দাদার খবর জানতে এসেছি । ৪. আমরা তো খবর রাখি না তোমার দাদার। পদ্মা যেন হতাশ হয়ে যায়। ৪ কোথায় থাকে কি করে কিছুই জানো না ? : না । মাঝে মাঝে টাকা ভিক্ষা করতে আসে, টাকা নিয়ে চলে’ যায়। তোমাদের ওখানে যায় না। টাকা চাইতে ? ভারি আশ্চৰ্য্য তো । আত্মীয় বন্ধু কাউকে বাদ দেবার মানুষ তো ও নয়! পদ্মা বলে, ঠিকানা জানলে বোধ হয় যেত। আমার ঠিকানা তো Vela : পরমেশ্বর বলে, তোমার কথাবার্তা কিন্তু ভারি রহস্যময় ঠেকছে মা । স্বরমা বলে, আমিও বুঝতে পারছি তোমার কথা। এর মধ্যে ও একবারও বাবার কাছে সাহায্য চাইতে যায় নি ?