পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sa সাৰ্বজনীন একটু দার্শনিকতা অবতারণার চেষ্টা করে বিধুভুষণ বলে, আচ্ছা! ঈশ্বরবাবু, মানুষ কি কর্ম ত্যাগ করতে পারে ? কৰ্মফল নয়। ভগবানে সমৰ্পণ করা যায়, কিন্তু কৰ্ম

কে ওসব নিয়ে মাথা ঘামায় বলুন ? ভগবান আছেন, জগৎসংসার আছে, আমি আছি-বাস, মিটে গেল। মনের আনন্দে দিন কাটাও ।

8 उjब्न् ? নিশ্চয় । আনন্দই সহজে হয়। কার কাছে খবর শোনে পঙ্কজ। সে উৎসাহিত হয়ে এসে বলে, আপনি সত্যি এ বাড়ীটা কিনছেন ঈশ্বরবাবু ? কিনাছি বৈকি । দেশের সবাই চলে আসবেন ? ঃ তাও আসবেন বৈকি ! ; অনেকদিন পরে ওদের সঙ্গে দেখা হবে। পরমেশ্বর তার আনন্দ দেখে মৃদু হেসে বলে, তুমি তো আচ্ছা! ছেলে হে! ওদের হল চরম দুৰ্গতি, জলের দামে যা পারে বেচে দিয়ে সব ফেলে টেলে চলে আসছে, দেখা হবে বলেই তুমি খুলী হয়ে উঠলে । পঙ্কজ লজ্জিত হয়ে বলে, ছিছি, ওদিকটা আমার খেয়ালও হয়নি ! পঙ্কজ পাড়ার ছেলে, বোধহয় সব বিষয়েই সব চেয়ে বেশী উৎসাহী ছেলে । দেশ ভাগ হবার আগে একটা বিশেষ প্ৰয়োজনে পঙ্কজকে পরমেশ্বর দেশের বাড়ীতে পাঠিয়েছিল। পাঠিয়েছিল মানে পঙ্কজ নিজেই উৎসাহ করে গিয়েছিল-ও দেশটা বেড়িয়ে আসবার সখ তার ছিল অনেক দিনের । দু’তিন দিনের জন্য গিয়ে পরমেশ্বরের ভাই মহেশ্বরের বাড়ীতে অতিথি R