পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন অবস্থাটা ভাল মত জানা থাকলে রোজগার কিছু করতে পারি না পারি আমার ঘরের পয়সাগুলি অন্যদের আমার ঘাড় ভেঙ্গে বাগাতে দিতাম। না। বুঝতে পারলি ? সবিতা বলে, আপনারা আছেন বলেই তো এত লোকের লোকঠকানো | bgव् । সুরমা সাধনকে বলে, তাই যদি বলে, তোমার যদি এ রকম অবস্থা হয়, ও মানুষটার পক্ষে আবার সামলে সুমলে রোজগারপাতি করা কি সম্ভব হবে ? আমি বেশ খুলী মনে এসেছিলাম, তুমি আমায় দমিয়ে দিলে। ওর ব্যাপারটা সব খুলে বলি শোন, নইলে আমার কথা বুঝবে না। সুরমা সমীরের কাহিনী বলে। সাধন ও সবিতা কান পেতে শোনে । সুরমা বলে, আমি আহ্নলাদে ডগমগ হয়ে সবিতাকে বলতে এলাম যে ওর পরামর্শ শুনে আমার কপাল ফিরেছে। আমি জোর দেখিয়ে ওকে আবোল তাবোল এলোমেলো পথে নিজেকে শুধরোবার চেষ্টা থেকে ফিরিয়েছি, আমি ভার নিয়েছি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে ওকে সাহায্য করব। কিন্তু দাদা, পয়সা রোজগার করতে নেমে সুস্থ সমর্থ যোয়ান মানুষ তোমার যদি এই দশা হয়ে থাকে, ওর কি দশা হবে ভােব তো ? একমাস দু’মাস ধরে আমি নয়। বাবার ঘাড় ভেঙ্গেই ওর শরীর মনটা ভাল করলাম--তারপর ও তো নিজে রোজগার করে নিজের পায়ে দাড়াতে অস্থির হয়ে উঠবে ? তুমি যে চেষ্টায় ঘায়েল হলে, ওকি সেখানে কিছু করতে পারবে ? হতাশ হয়ে আবার বিগড়ে গিয়ে নিজেকে নষ্ট করবে: মানুষটা । সাধন বলে, কেবল নিজের হিসাব ধরলে কি আজকের দিনে চলে? দশজনের কথা ভাবতে হয়। জীবনটা আবার নতুন করে গড়বার