পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন २२ প্ল্যাটফর্মে পড়ে থাকবে, থার্ড ক্লাশের যাত্রীরা কোনদিন এভাৰে চিন্তা করতেই জানে না। ছেলেমানুষ গণেশ সায় দিয়ে বলে, সত্যি ! দিম আটকানো গাদাগাদি ভিড়ের মধ্যে এবং কামরার বাচ্চ কাচ্চা নিয়ে মেয়েদের বসবার যায়গা করে দেবার মধ্যে সেও যেন দেখতে পায় ভদ্রতা কাকে বলে তার আসল রূপটা ৷ সাধন বলে, বাইরে থেকে মনে হয় গরীবরা বড়ই ঝগড়াটে। কিন্তু খাটি মিল শুধু গরীবদের মধ্যেই হয়। লোক দেখানো মিল নয়, দরকারী दार्छद लि । পঙ্কজ বলে, গাড়ীর সকলেরই সমান অবস্থা। টাকা পয়সা হয় তো কারো আছে কারো নেই-কিন্তু কোথায় গিয়ে দাড়াবে, টাকা পয়সা কদিন চলবে, কেউ জানে না। প্ৰতিমার সঙ্গে চোখোচৌখি হয় পঙ্কজের। পাখাটা নামিয়ে প্রতিমা qकरे श्iान। এ অবস্থাতেও প্ৰতিমা হাসতে পারে ! ( দু'হাতে হাঁটু জড়িয়ে মহেশ্বর হাঁটুতেই মাথা গুজে একভাবে ৰূলে আছে । তার বুকটা কিরকম হু হু করছে কে জানে! এদের কলকাতা যেতে সাহায্য করার জন্য না এলে সে বোধ হয় এতটা স্পষ্টভাবে ধারণা করতে পারত না সাতপুরুষের ভিটে ফেলে চিরদিনের জন্য দেশান্তরী হওয়া এই সব মানুষের কাছে কি মর্মান্তিক ব্যাপার। প্ৰতিমার মা সুভাগিনী চোখ বুজে আছে। কে জানে চোখের পাতা দিয়ে চোখের জল ঠেকাবার জন্য কিনা !