পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ ዓ সাৰ্বজনীন শব্দটা এসেছে! আমলে মানুষ যেমন চোর নয়, ভীরুতাও তেমনি তার ধৰ্ম্ম নয় । উত্তেজিত গণেশ বলে, এরা কোন সাহসে ডাকাতের পিছু নিয়েছিল, এ্যা ? ওদের যে বন্দুক ছিল ! পঙ্কজ বলে, সাহস ? এতগুলি মানুষ আছি, এইতো সাহিলি ? ডাকাতরা তবে পালালো কেন ? এক গাড়ী লোকের কাছে দু’চায়টে বন্দুক কিছুই নয় জানে বলে তো ! আধা ঘণ্টা দেরী করে গাড়ী ছাড়ে। তারা তখন নিজের জায়গায় উঠে বসেছে, দুজনে চাদরটা গায়ে জড়িয়েছে। আধা ঘণ্টা উঠে হেঁটে বেড়িয়ে হাত পায়ের আড়ষ্ট টনটনে ভাবটা কেটে যাওয়ায় কি আরামটাই যে বোধ হচ্ছিল | গণেশ বলে, এই ব্যাপার নিয়ে কাল অনেক কাগজে বিষ ছড়াবে। পঙ্কজ সায় দিয়ে বলে, তাই তো মুন্ধিল । চাের-ডাকাত যে শুধু চাের-ডাকাত, শুধু অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে, এটা লোকে ভুলে গেছে। গণেশ অনুযোগের সুরে বলে, লোকের কি দোষ ? যাদের তারা বিশ্বাস করবে। তারাই যদি মাথা গুলিয়ে দেয়, লোকে কি করাৰে ? লোকে মিথ্যা চায় না, অন্যায় সহ করে না । সত্যের নামে ন্যায়ের নামে তাই না। তাদের ভুলাতে হয় | পঙ্কজ খুলী হয়ে বলে, তোমার বয়সের ছেলেরা যখন এটা বুঝতে শিখেছে তখন আর ভাবনা নেই। লোকে আর বেশীদিন ভাওতায় ভুলবে না। এ দেশের লোকের বিশ্বাসটা জোরালো, সহজে অবিশ্বাস করতে চায় না। তাই এত দুর্ভোগ। কিন্তু এবার দায়ে পড়ে বিচার করতে শিখছে । মান গম্ভীর মুখে গণেশ নীরবে সায় দেয়। এই অবস্থায়, নিজের