পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন ՀԵ যখন উৎখাত হয়ে স্রোতে ভেসে যাচ্ছে, তখন এই বয়সের একটি ছেলের এই রকম সুস্থ বিচার শক্তি পঙ্কজকে অভিভূত করে দেয়। পথে পাওয়া অসমবয়সী বন্ধটিকে আরেকটু কাছে টানতে চেয়ে সে হাত বাড়িয়ে তাকে জড়িয়ে ধরতে যায়। আচমকা থেমে গিয়ে বোকার মত চেয়ে থাকে। দেখা যায়। গণেশের মুখ আরক্ত হয়ে CsCQ ধীরে ধীরে সে হাতটি গলা থেকে খুলে দেয়। ধীরে ধীরে পঙ্কজের মুখে মৃদু হাসি ফুটে ওঠে, সহানুভূতির সঙ্গে জোর দিয়ে বলে, তাতে কি হয়েছে ? ঠিক করেছ। গণেশ চোখ তুলে চেয়ে হাসে। পঙ্কজ সহজ ভাবে মৃদুস্বরে বলে, চুল কাটতে মায়া হয়নি। গণেশ ? -হয়েছিল। কি করব ? গণেশ আবার একটু হাসে। বিছানার উপরে বসে রাতারাতি গণেশের সঙ্গে পঙ্কজের বন্ধুত্ব হয়েছিল। ওদিকে মেয়েদের কোণায় পাশাপাশি না বসেও গণেশের মা আর স্বাভাগিনীরও যে ভাব হয়ে গেছে জানা ছিল না। পরদিন শিয়ালদহ ক্টেশনে নেমে টের পাওয়া গেল। গণেশের মা নেমেই গণেশকে বলে, ইনি বলছেন, আমাদের যখন যাবার যায়গা নেই, এদের সঙ্গে যেতে। দু'একদিন এদের বাড়ী থেকে একটা ঘর খুজে উঠে যাব। সুবিধা হলে এদের বাড়ীতেও ঘর ভাড়া निम थांकड श्रांत्रि । পঙ্কজ বাক্যাহারা হয়ে তার কথা শোণে । জগৎ সংসারে এত কাণ্ড ঘটে গেল, এরা এখনো এদের পুরাণো ধারণার জগতে রয়ে গেছে!