जार्दछनैीन ... O ভদ্রলোকের গলা এবার ভারি শোনায় । বলে, কিন্তু আপনাদের মত হাজার হাজার দেশের মানুষ এসে বাড়ীর জন্য কি দুৰ্দশা ভোগ করছেন জানার পর মনটা বড় খারাপ হয়ে গেল। ভাবলাম কি, এ বড় স্বাৰ্থপরের মত কাজ হচ্ছে। এতগুলো ঘর আমার পড়ে থাকবে। আর আমার দেশের লোক স্ত্রী-পুত্র পরিবার নিয়ে ফুটপাতে দিন কাটাবে? সবাইকে না পারি দুটি তিনটি পরিবারকেও তো বাড়ীতে আমার জায়গা দিতে পারব ! নিজেরা তাই দুটি মাত্র ঘর নিয়ে অন্যগুলি ভাড়া দিচ্ছি। কাল একটি পরিবারকে দু’খান ঘর ভাড়া দিয়েছি। আপনার যদি চান, বাকী চারখানা ঘর নিতে পারেন । ভাড়া কত ? আর সেলামীরাম রাম রাম! সেলামী কি মশাই ? এক পয়সা সেলামী নেব। না। শুধু ছ'মাসের ভাড়াটা আগাম দেবেন। ভাড়া খুব কম করেছি।- আমার তো ব্যবসা নয় বাড়ী ভাড়া দেওয়া ! চারখানা ঘর আশী টাকা মাসে। বড় বড় ঘর, ইচ্ছে করলে দেড়শো টাকায় ভাড়াটে বসাতে পারি। গণেশের ভাব দেখে মনে হয়, সত্যিই বুঝি ভাগ্যে তাদের সিকে ছিড়ে স্বৰ্গ জুটেছে ! গণেশের মা এ পৰ্য্যন্ত কোন কথা বলেনি, এবার থাকতে না পেরে সোজাসুজি জানায়, বেশ তো, আপনাদের বাড়ী আমরা নেব । কিন্তু দেখা যায় চারখানা বড় বড় ঘরওলা স্বৰ্গ অত সহজে মুখের কথায় জোটে না । ছ'মাসের ভাড়া ভদ্রলোককে হাতে হাতে দিতে হবে, এইখানে দিতে হবে-নগদ চারশ’ আশী টাকা । একথা শুনলে মানুষের মনে সন্দেহ জাগে বৈ কি ! বাড়ীটা একবার চোখে না দেখে
পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬
অবয়ব