পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6ጽፃ সাৰ্বজনীন মনে হয় মাথার বুঝি তার গোলমাল আছে। ভাবে সহজেই রাগটা, আবার তার পড়েও যায়। এ বিষয়ে সুরমা একেবারেই অন্যরকম। রাগ অভিমান বলে কিছুই যেন তার নেই, সে যেন মূৰ্ত্তিমতী ধৈৰ্য্য। আর ক্ষম। সমীরের মঙ্গে সুরমার আলাপ জমে পরমেশ্বরকে নিয়ে আলোচনায়। মানুঘটা সম্পর্কে দু’জনেরই খুব আশ্ৰহ-কিন্তু দেখা যায়। তার সম্পর্কে डांव्र भाऊद्र उनक ज्याशिव् । সমীর বলে, আপনারা কলকাতা আসেন নি আগে ? কতবার । জেঠামশায়ের সঙ্গে তো একবারও দেখা করতে আসেন নি ? বাবার বারণ ছিল। জেঠামশাই নিজেও কখনো যেতেন না, আমাদেরও আসতে লিখতেন না । বাবা বলেন, যে চায় না। তাকে জ্বালাতন করতে নেই। বাবা ওঁকে দেবতার মত ভক্তি করেন, ওঁর প্ৰত্যেকটি ইচ্ছা মেনে চলেন। সমীর মনে মনে বলে, সে তো বটেই-অৰ্দ্ধেক সম্পত্তি ভোগ দখল করতে দিয়েছেন, তাকে ভক্তি না করলে চলবে কেন ! মুখে বলে, এবার তো এতটুকু জালাতন হলেন না ? বরং খুলীই হয়েছেন মনে হয় ! আপনার আগে এলে বিরক্ত হতেন জানলেন কি করে ? আসতে তো তিনি বারণ করেন নি। আপনাদের !

  • বিরক্ত হতেন কে বল্লে ? আমরা আগে এলেও বিরক্ত,

३geन न । E VSR ? : আহা, বিরক্ত না হওয়াটা ওঁর স্বভাব। কিন্তু আমরা তো জানি উনি আত্মীয় বন্ধু চান না, নিজের মনে একলা থাকতে ভালবাসেন ॥৮