পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন کو

८दर्भ:८ऊा ठिंक छांफुझे निन्!

টাকা নিয়ে মহেশ্বর রসিদ দেয়। পরমেশ্বর হেসে বলে, আমার মতলবটা টের পেলে না, এই তুমি শিক্ষিত বুদ্ধিমান ছেলে ? কয়েক মাস দশ টাকা করে কম নিয়ে ডিফল্টার দাড় করিয়ে তোমাদের ভাগিয়ে দেব । সুরঞ্জন হাসিমুখে তাকে রসিদটা দেখায়। মহেশ্বর নিজেই রসিদের পিছনে লিখে দিয়েছে যে চলতি মাস থেকে দশটাকা ভাড়া কমান হল। পূজা এগিয়ে আসছে। মহেশ্বর নতুন অবস্থায় নতুনভাবে পূজার ব্যবস্থা করার চিন্তা আর হিসাব নিকাশ নিয়ে সব সময় ব্যস্ত আর বিব্রত হয়ে আছে। পরমেশ্বর নিজে থেকে পরামর্শ দিয়েছে, পঙ্কজের সঙ্গে পরামর্শ কর । ওপাড়ার সার্বজনীন পূজায় খুব খাটে-ওর কাছে সব জানতে পারবে। ছোটখাট কিন্তু চকচকে নতুন গাড়ীতে চেপে এক রবিবার সকালে বিধুভুষনেরা এ পাড়ায় বেড়াতে আসে, চেনা লোকদের সঙ্গে দেখা করতে ऊनि । বুঝতে অবশ্য কষ্ট হয় না। কারুরই যে দেখা করার চেয়ে নতুন কেনা। গাড়ীটা দেখাতে আসাই তাদের বেশী জরুরী ছিল। কোন একদিন গাড়ী কেনাটা টাকা নষ্ট করার বদলে প্ৰয়োজনীয় হয়ে উঠতে পারে ভেবে এ বাড়ীতে বিধুভুষন একটা গ্যারেজ তৈরী করেছিল, সম্ৰান্ত পাড়ায় আধুনিক প্যাটার্ণের গ্যারেজবিহীন ছোটখাট বাড়ীটা কেনার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ী কেনাও তার দরকার হয়ে পড়েছে। একটা গ্যারেজও তৈরী করে নিতে হয়েছে তাড়াতাড়ি। একজন ড্রাইভারও রাখতে হয়েছে গাড়ীটা চালাবার জন্য। তারা কেউ গাড়ী