পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন \ébም চালাতে জানে না। বিধুভুষনের অবশ্য হিসাব ঠিক করাই আছে। নিজেরা গাড়ী চালালে কোনই দোষ হয় না। আজকাল, গাড়ী একটা থাকলেই হল। গাড়ী চালাতে শিখে লাইসেন্স পাওয়া পৰ্য্যন্তই সে কান্তিলালের মাইনে গুণবে। অবশ্য গাড়ী চালাতে শিখতে হবে খুব ভাল করেই। কান্তিলালের খরচটা বাঁচাতে চেয়ে কলকাতা সহরে কঁচা হাতে গাড়ী চালাতে গিয়ে অ্যাকসিডেন্ট ঘটিয়ে হয়তো অপচয় করে বসবে কোন অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গের কিম্বা জীবনের । ওরকম বেহিসাবী টাকার মায়া বিধুভুষনের নেই। তার আগের বাড়ীর সামনেই গাড়ী দাড়ায়। পাড়ার অনেক বাড়ী থেকেই গাড়ীটা এখানে দেখা যাবে। তারা নেমে বাড়ীর ভিতরে গেলে কান্তিলালও নেমে দাড়িয়ে একটা বিড়ি ধরায় । এমন একটা মুখভঙ্গি করে থুতু ফেলে যেন গাড়ী আর গাড়ীর মানুষগুলির নোংরা সান্নিধ্য থেকে মুক্তি পেয়ে বেঁচেছে। পদ্মা মুখ ফিরিয়ে তার সেই মুখভঙ্গি দেখে ভাবে, বিড়ি টানতে ভাল লাগে না বেচারার । কিন্তু কি করবে। সিগারেট কিনতে নিশ্চয় পয়সা কুলোয় না। কিন্তু কেন কুলোয় না ? মাইনে তো কম পায় না। একজন লোকের পক্ষে । খাওয়ার খরচ, থাকার খরচও লাগে না এক পয়সা । কি করে এতগুলি টাকা ? পরমেশ্বর চিঠি লিখছিল নিজের ঘরে। সেখান থেকে জানাল দিয়ে গাড়ী থামা থেকে সকলের নেমে বাড়ীতে ঢোকা চোখে না পড়েই 9 की । নিজের ভাবে মশগুল হয়ে বাড়ীর সামনে মোটর গাড়ী থামার