পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন 8. সে মুচকে মুচকে হাসে। সকলে উৎসুক আগ্রহে তার রসিকতার আসল কথাটুকুর জন্য প্রতীক্ষা করে। হাসবার জন্য প্ৰস্তুত হয়েই সাগ্রহে প্ৰতীক্ষা করে। তারা জানে যে রসিকতার এই ভূমিকা শুধু তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য-এবার সে যা বলবে তাতে না হেসে উপায় EfEF(< A| Voss: | পর পর সাজানো রেশন কার্ডগুলি নিয়ে দোকানের যে কৰ্মচারী এ খাতায় ও খাতায় সে খাতায় এটা ওটা সেটা টুকে নিয়ম রক্ষা করছিল— সে পৰ্য্যন্ত কলমটা উচিয়ে ধরে অপেক্ষা করে। সে-ও তো পাড়ারই ছেলে। সে হাসির গাম্ভীৰ্য্য দিয়ে মুখটা হাস্যকরভাবে গম্ভীর করে বলে, ভারি সুন্দরী মেয়ে। সত্যি বলছি ভাই, এত সুন্দরী মেয়ে আমি জীবনে কখনো দেখিনি। রং মেটে, মোটাসোটা চেহারা, বেঁচো নাক একটু থামে। এদিক ওদিক তাকিয়ে নেয়। : সকাল বেলা নাইতে যাব, বাড়ীতে এসে হাজির । আমায় জিজ্ঞেস করলে, আপনার অভিভাবক কে ? আমি বললাম, আজে আমার তো অভিভাবক নেই ! শুনে বললে, যাক গে, সেজন্য আসবে যাবে না, আপনার সঙ্গে কথা বললেই চলবে । আমি ব্যাচেলর নিউজ এজেন্সি থেকে আপনার খবর পেয়ে এসেছি। কিছু সম্পত্তি আছে, চাকরীও করেন, না ? বিয়ে না করে দিব্যি গায়ে ফু দিয়ে বেড়াচ্ছেন তো ? এটা সমাজ-বিরোধী কাজ, তা জানেন ? এসব আর চলবে না, আপনাকে বিয়ে-থা করতে হবে । আমি ভিয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি ঘটকী বুঝি ? জবাব দিলে, না, আমিই তোমাকে বিয়ে করব। সে নিজে সশব্দে হাসে ।