পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন ክሦኅ።” ঃ মনকে চাওয়াতে হয়। মনের ওপর জোর খাটাতে হয়। প্ৰণব প্ৰতিদিন ভোরে অঘোরের বাড়ী দুধ আনতে যায়। সামনে দোয়ানো দুধ না খেলে বিনোদের না কি পেট ফাঁপে। জল মেশানো দুধের চেয়ে খাটি দুধটা তার সহ্য হয় বেশী। অন্য কেউ দুধ এনে দিলেও তার চলে না। একমাত্র নিজের ছেলেকে ছাড়া আর কারো প্ৰতি তার বিশ্বাস নেই। নিজেও মাঝে মাঝে যায়-প্ৰণবকেই যেতে হয় বেশীর ভাগ দিন। বাড়ীতে গরু নিয়ে এসে অঘোর দুধ দুয়ে দিয়ে যেতে রাজী আছে— গরুর সবটা দুধ কিন্তু নিতে হবে। অনায়াসেই তা নিতে পারে বিনোদ, তার সংসারের লোকের হিসাব ধরলে দুটো গরুর দুধই তার নেওয়া উচিত, কিন্তু জমা টাকা খরচ করে সকলকে দুধ খাওয়াবার কথা ভাবতেও পারে না বিনোদ । বিশেষতঃ আজকাল যা দাম দুধের । সে হতাশ ভাবে বলে, পেনসনের পয়সায় কি আর ভাল ভাবে ऽङन शुभ ऊांख्रिश्ब्णी ! কিছু কিছু জমাতেও হয় পেনসনের টাকা থেকে । তাই সে ছাড়া বড়রা কেউ দুধ খায় না। বড় মানে যাদের বয়স পাচের বেশী । জবরদস্ত হাকিম ছিল বিনোদ । কড়া হাতে আন্দোলন দমন করে আর স্বদেশীদের জেলে পাঠিয়ে পদোন্নতির পথে মাইনে বাড়িয়ে পয়সা। রোজগার করেছে, একসটেনসেন টেনে টেনে অবশেষে পেনসন নিয়েছে দেশে ভাগের স্বাধীনতা আসবার বছর তিনেক আগে। তার টাকার মায়া দাঁড়িয়েছে অদ্ভুত রকম। তার ঠিক কৃপণতা