পারদর্শিতা ছিল; ফেরিস্তার ভাষায় “তাঁর একমাত্র অপরাধ যে তিনি স্ত্রীলোক।”
এই যুগে আলাউদ্দীন জাহানসোজের দৌহিত্রী ‘মাহ্মালিক’ বিদুষী ব’লে খ্যাতিলাভ করেছিলেন। ‘তবকাৎই-নাসিরী’র লেখক মিন্হাজ তাঁর দয়ায় লালিত পালিত হয়েছিলেন, তিনি ‘মাহমালিকের’ পাণ্ডিত্যের এবং সুন্দর হস্তাক্ষরের বহু প্রশংসা করেছেন। মালবাধিপতি সুলতান গিয়াসুদ্দীনের প্রাসাদে পঞ্চদশ শতাব্দীতে পঞ্চদশ সহস্র(?) নারী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কবি, শিল্পী, শিক্ষয়িত্রী, গায়িকা, নর্তকী, ধর্মজ্ঞা সকল স্তরের নারীর সমাবেশ হয়েছিল।
মোগল আমলে শাহ্জাদীদের সতেরো আঠারো বছর বয়সের আগে বিয়ে হ’ত না, অনেকের আজীবন বিয়েই হ’ত না, তাঁরা লেখাপড়া, রাজনীতি বা ধর্মনীতি চর্চা ক’রেই জীবন কাটাতেন। এঁদের মধ্যে বয়সের দিক দিয়ে অগ্রণী সম্রাট্ বাবরের মেয়ে গুলবদন বেগম। তাঁর লেখা ‘হুমায়ুন নামা’ মোগল আমলের একখানি শ্রেষ্ঠ ইতিহাস। বর্তমান পুঁথিটি খণ্ডিত (আনুমানিক ১৫৮৭ খৃষ্টাব্দে লেখা) বাবরের সময় থেকে আরম্ভ হয়ে হুমায়ুনের দ্বিতীয়বার ভারত বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত ইতিহাস ঐ বইটিতে পাওয়া যায়। ‘হুমায়ুন নামা’ ছাড়া অনেক ফার্সী কবিতা তিনি লিখেছিলেন। তাঁর একটি কবিতার একটি চরণ এই:
“হর্ পরী কে উ বা-আশিক-ই-খুদ ইয়ার নীস্ত।
তু ইয়াকীন্ মীদান্ কে হেচ্ অজ্