বলা বাহুল্য, রামীর কবিতায় চণ্ডীদাসের প্রভাব খুব বেশী চোখে পড়ে।
রামীর পরবর্তী বৈষ্ণব নারী কবিদের মধ্যে ইন্দুমুখী, মাধুরী, গোপী এবং রসময়ী দেবীর নাম উল্লেখযোগ্য। তাঁদের পরিচয় কিছুই আমাদের জানা নেই, কেবল তাঁদের রচিত পদের শেষে তাঁদের নামটুকু পাওয়া যায়। গোপীর রচনার একটু নমুনা দিচ্ছি:
“দণ্ডবৎ হইয়া মা’য় সাজিল যাদবরায়,
সঙ্গহি রঙ্গিয়া রাখাল।
বরজে পড়িলা ধ্বনি, শিঙ্গা বেণু রব শুনি,
আগে ধায় গোধনের পাল॥
গোঠেরে সাজল ভাইয়া, যে শুনে সে যায় ধাঞা,
রহিতে না পারে কেহ ঘরে।
শুনিয়া মুখের বেণু, মন্দ মন্দ চলে ধেনু,
পুচ্ছ ফেলি’ পিঠের উপরে॥
নাচিতে নাচিতে যায়, নুপূরে পঞ্চম গায়,
পাঁচনী ফিরায় শিশুগণে।
হৈ হৈ রাখাল বলে, শুনি সুখ সুরকুলে,
গোপী বলে নাথ যায় বনে॥”
শ্রীচৈতন্যের সমসাময়িক কবি এবং বিদুষী মাধবী দেবী তাঁর অন্যতম ভক্ত শিখি-মাইতির ভগ্নী ছিলেন। তাঁর রচিত অনেক পদ ‘পদ-কল্পতরু’তে পাওয়া যায়। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী ঐতিহাসিক, ভাষা সরল এবং মর্মস্পর্শী। সমসাময়িক অনেক ঘটনার নিখুঁত ছবি তাঁর লেখায় অমর হ’য়ে আছে। চৈতন্যদেব নারীর