পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩২
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

তাঁদের মধ্যে কৈলাসবাসিনী দেবীর “হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা” (১৮৬৩), অজ্ঞাতনাম্নী লেখিকার “কবিতামালা” (১৮৬৫), কোন্নগর বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষয়িত্রী, মার্থা সৌদামিনী সিংহের “নারীচরিত” (১৮৬৬) উল্লেখযোগ্য। বাঙ্গালী নারীর লেখা প্রথম গার্হস্থ্য উপন্যাস হেমাঙ্গিনী দেবীর “মনোরমা” ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে লেখা হ’লেও ছাপা হয় ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দে। ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত ‘বঙ্গবালা’ কাব্যে লেখিকার নাম নেই। ঐ বৎসর (১২৭৫ সাল) প্রকাশিত রাসসুন্দরী দেবীর “আমার জীবন” নামক জীবন-স্মৃতির বইখানি ভাষার সারল্যে এবং মাধুর্য গুণে ঐ সময়কার নারীরচিত শ্রেষ্ঠ রচনা ব’লে বিবেচিত হ’য়েছে। কৈলাসবাসিনী দেবীর কবিতার বই “বিশ্বশোভা”, কামিনীসুন্দরী দেবীর নাটক “উর্বশী” এবং দয়াময়ী দেবীর ‘পতিব্রতা ধর্ম’ ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। এর পর অজ্ঞাতনাম্নী লেখিকার ‘কুসুমমালিকা’ (১৮৭১), অন্নদাসুন্দরী দেবীর কবিতার বই “অবলাবিলাপ” (১৮৭২), লক্ষ্মীমণি দেবীর গার্হস্থ্য বিষয়ক নাটক “চিরসন্ন্যাসিনী” (১৮৭২) শ্রীমতী নিতম্বিনী দেবীর “অনূঢ়া যুবতী” নাটক (১৮৭২) হরকুমার ঠাকুরের সহধর্মিণী রচিত গার্হস্থ্য উপন্যাস “তারাবতী” (১৮৭৩) এবং ইন্দুমতী দাসী প্রণীত ‘দুঃখমালা’ নামক কবিতার বই (১৮৭৪) উল্লেখযোগ্য। এই সময়ের মধ্যেই তাহেরুন্নিছা বিবি, রমাসুন্দরী ঘোষ, ক্ষীরোদা দাসী, শৈলজাকুমারী দেব্যা, মধুমতী গঙ্গোপাধ্যায়, বিন্ধ্যবাসিনী দেবী, কামিনী দত্ত, রাধারাণী লাহিড়ী, ভুবনমোহিনী দেবী, কুন্দমালা দেবী, নীরদা দেবী, সৌদামিনী খাস্তগীর প্রভৃতি লেখিকার নাম পাওয়া যায়, বসন্তকুমারী দাসীর “বোগাতুরা”