পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

তাঁকে ইংরাজী সাহিত্যে যশস্বিনী করেছে। সাহিত্যসাধনা ছেড়ে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান ক’রে তিনি যথেষ্ট ত্যাগ স্বীকার এবং অশেষ দুঃখক্লেশ বরণ করেছেন এবং দেশনায়িকারূপে যোগ্যতার পরিচয় দিয়াছেন,[১] আজ তাঁকে কবি সরোজিনী নাইডু বলে অনেকেই চেনেন না, এমন কি বাঙ্গালী বলেও দাবী কর্বার মত সম্বলও তিনি আমাদের দিয়ে রাখেননি, তাঁর পিতৃ-পরিচয়টুকু ছাড়া। অবশ্য আর একদিক দিয়ে তিনি বিশ্ব-বিখ্যাতি লাভ ক’রে ঐ পিতৃপরিচয়ের দাবীতে বাঙ্গালী মেয়েদের পরম গৌরব স্থাপন করেছেন। সে কথা সর্ব্বজনবিদিত।

 ঐ বৎসরে জাত দ্বিতীয় কবি এবং ঔপন্যাসিকা ইন্দিরা দেবী প্রাতঃস্মরণীয় মনীষী ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের পৌত্রী, মুকুন্দ দেবের প্রথমা কন্যা এবং অনুরূপা দেবীর জ্যেষ্ঠা ভগ্নী। ইন্দিরা দেবীর শৈশব শিক্ষা বঙ্গ-বিহার-উড়িষ্যার শিক্ষাগুরু ভূদেব বাবুর হস্তেই ঘটেছিল। তিনি নিজেই তাঁকে সংস্কৃত ভাষায় সযত্নে শিক্ষা দেন।

 প্রায় পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে লিখিত তাঁর কবিতাগুলি আজও যে কোন আধুনিক শ্রেষ্ঠ কবির লেখার পাশে স্থান পেতে পারে। দুই একটি নমুনা মাত্র দিচ্ছি,—

“আসবে তুমি, আসবে আমি জানি।
জলে স্থলে চল্‌ছে কানাকানি।

  1. তার যোগ্য পুরস্কার দিতেও দেশবাসী কার্পণ্য করেনি। (১৯৪৭-৪৮) এখন তিনি যুক্তপ্রদেশের গবর্ণর। —লেখিকা।