পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
১৫৯

দেবীদের সম্বন্ধেই আমি ত্রুটীর কথা নিবেদন করছি, যেহেতু বাংলা সাহিত্যে সংখ্যাধিক পুস্তক এঁরাই লিখেছেন। অতঃপর নূতন সংস্করণে প্রথম ছাপার তারিখটিরও যদি উল্লেখ করবার ব্যবস্থা করা হয়, তা’ হ’লে ভবিষ্যৎ সাহিত্যের ইতিহাস লেখকরা যে তাঁদের কাছে বিশেষ ঋণী হবেন তা’ বলাই বাহুল্য।

 ১৯৩৯ খৃষ্টাব্দে ছাপা হয় হেমলতা দেবীর গল্পের বই “দেহলী”। ইহার বহু পুস্তক পূর্বে ও পরে বাহির হয়েছে। হয়ত সবগুলির নাম সময়মত করা হয় নি, ছোট গল্পগুলি “মিষ্টিক” ধরণের এবং বাংলা সাহিত্যে সত্যই অভিনব। কবিতা, গানগুলিও সুললিত।

 “মেয়েদের কথা”, “শ্রীনিবাসের ভিটা”, “অকল্পিতা”, “দুনিয়ার দেনা”, “জ্যোতি”, “দু’ পাতা”, “শিশু সাহিত্য”, “জল্পনা”, “সার কথা”, ‘কথিতা’ এইগুলি এঁর লেখা।

 ১৯৪০ খৃষ্টাব্দের উল্লেখযোগ্য বই,—আভা দেবীর নাটিকা ‘আধুনিকা’, প্রফুল্লময়ী দেবীর উপন্যাস “এষা”, “নির্য্যাতিতা ধরণী”, অমলা দেবীর “সুধার প্রেম” উপন্যাস, গীতা ঘোষের “নিজেরে হারায়ে খুঁজি”, পূর্ণশশী দেবীর ‘পথে বিপথে’, জ্যোতির্ময়ী দেবীর “রাজ যোটক”, সরলা দেবীর ‘শিবরাত্রি পূজা’, আশাপূর্ণা দেবীর “জল ও আগুন”, “ছোট ঠাকুরদার কাশী যাত্রা”, সরলা বসু রায়ের “চিত্তপ্রদীপ”, শ্রীমতী পুষ্পলতা দেবীর “নীলিমার অশ্রু” সুবৃহৎ উপন্যাস প্রকাশিত হয়।

 ১৯৪১ খৃষ্টাব্দে অন্নপূর্ণা গোস্বামীর “সঙ্গোপনে” নামক গল্পসংগ্রহ, আশাপূর্ণা দেবীর গল্পের বই ‘রঙীন মলাট’, ‘হাফ্‌ হলিডে’, প্রভাবতী দেবীর উপন্যাস ‘পথপ্রান্তে’, শ্রীমতী দুর্গাবতী ঘোষের “পশ্চিম যাত্রিকী” (ইউরোপ ভ্রমণ কাহিনী) এর কাছাকাছি