পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮২
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী

কয়েকজনের নাম উল্লেখযোগ্য। কুর্গের শ্রীমতী গৌরাম্মা, অঞ্জনগড়ের শ্রীমতী তিরুমালাম্মা, বাঙ্গালোরের শ্রীমতী থিরুমালাই রাজম্মা বা ‘ভারতী’, কলকাতা প্রবাসিনী শ্রীমতী বাসন্তী দেবী পদকোণে, বাঙ্গালোরের ‘সরস্বতী’ পত্রিকার সম্পাদিকা শ্রীমতী কল্যাণাম্মা এবং ধারোয়ারের ‘জয় কর্ণাটকের’ সহ-সম্পাদিকা শ্রীমতী শ্যামলা দেবী বেলগাউমকার। এ ছাড়া ‘বাণী’ এবং ‘জৈন মহিলা’ ছদ্মনামে দু’জন শক্তিশালিনী লেখিকা কানাড়ী সাহিত্যে খ্যাতি লাভ করেছেন। কর্ণাটী মেয়েদের মধ্যে প্রাচীনপন্থী লেখিকার সংখ্যা এখনও বেশী, তবে প্রগতিপন্থীরাও দেখা দিতে আরম্ভ করেছেন। ‘বাল সরস্বতীর’ ডিটেক্‌টিভ উপন্যাস থেকে আরম্ভ করে ছোটো বড়ো গল্পে, প্রবন্ধে, কবিতায় এবং নাটকে কানাড়ী মেয়েরা কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।

 কানাড়ীর পর তেলুগু সাহিত্য সম্বন্ধে আমাদের কিছু জানা দরকার। খৃষ্টের বহু সহস্র বৎসর পূর্বে অন্ধ্রদেশে বিশেষ শক্তিশালী লেখকের আবির্ভাব হয়েছিল ব’লে সে দেশের প্রাচীন পন্থীরা বিশ্বাস করেন, যদিও আধুনিক পণ্ডিতেরা তা বিশ্বাস করেন না। এ বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত এখনও কিছু হয়নি। অতীতের উল্লেখযোগ্য অন্ধ্রদেশীয় লেখিকাদের মধ্যে সংস্কৃত কবিদের বাদ দিলে প্রথমেই ‘কারিকুল অম্মৈয়ারে’র নাম করতে হয়। জনশ্রুতি, তিনি খৃষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে জীবিত ছিলেন, আধুনিক পণ্ডিতেরা তাঁকে খৃষ্টের তৃতীয় চতুর্থ শতকে ফেলেন। যাই হোক, তিনি যে অন্ধ্র দেশের প্রাচীনতম যুগের একজন শক্তিশালিনী লেখিকা, সে বিষয়ে মতদ্বৈধ নেই। অম্মৈয়ার অনেক গান রচনা করেছেন, তেলুগু গীতি-সংগ্রহগুলির মধ্যে