বিবেকানন্দের শিষ্যা বা রামকৃষ্ণমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টা বলে নয়, রবীন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ, নন্দলাল বসু প্রমুখ আধুনিক বাংলার শ্রেষ্ঠ পুরুষদের জীবনে ভগিনী নিবেদিতার প্রভাব এবং প্রেরণা অসামান্য। রবীন্দ্রনাথ মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেছেন। ‘তাঁর কাছে যে প্রেরণা পেয়েছি তা আর কারো কাছে পাইনি। তাঁর চরিত্র স্মরণ ক’রে তাঁর প্রতি গভীর ভক্তি অনুভব ক’রে প্রচুর বল পেয়ে থাকি।’
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের পর বিদেশী সাহিত্যের আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই আমাদের ইংলণ্ডের কথা মনে পড়ে। ইংলণ্ডের সাহিত্যক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতোই নারীর আবির্ভাব খুব বেশী দিনের নয়।
সপ্তদশ শতাব্দীতে শ্রীমতী বেন্ আফ্রা নাম্নী একজন তীক্ষ্ণবুদ্ধি মহিলা দ্বিতীয়চার্ল্সের গুপ্তচর ছিলেন। ওরুনোকো (১৬৭৮) নামক উপন্যাসখানিতে তিনি নিগ্রোদের কথা প্রথম লেখেন এবং তারা যে মানুষ সে কথা সভ্য শ্বেতাঙ্গ-সমাজকে স্মরণ করিয়ে দেন।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে মিসেস অ্যান্-র্যাড্ক্লিফের “উডল্ফোর অলৌকিক রহস্য” (১৭৯৪) একখানি বিখ্যাত রোমাঞ্চকর উপন্যাস। এই ধরণের দু’চারখানি বই এবং খুব প্রাচীন কালের পল্লীগাথা ছাড়া ইংরাজী সাহিত্যে ওযুগে নারীর কোনো লেখা আমরা পাই না; এর কারণ অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে অন্যান্য দেশের মতো ইংলণ্ডের মেয়েদেরও বেশী লেখাপড়া শেখার প্রথা ছিল না, বই লেখা তো দূরের কথা। ইংলণ্ডের প্রথম সুলেখিকা ফ্যাণি বার্ণির জন্ম