পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
২০১

পুরোহিতকে। জীবনে কয়েক মাসের জন্য মাত্র তিনি সুখী হয়েছিলেন। ঊনচল্লিশ বৎসর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। পরবর্তী লেখিকা মরিয়াম ইভান্স শুধু সুলেখিকা এবং সুগায়িকা বলে নয়, সুপণ্ডিতা বলেও বিখ্যাত ছিলেন। বাইশ বছর বয়সে জার্মান ভাষা থেকে “যীশুর জীবন” অনুবাদ করে তাঁর সাহিত্যিক জীবন আরম্ভ হয়। কভেণ্ট্রি’তে বাল্য জীবন কাটিয়ে পিতার মৃত্যুর পর তিনি কিছুদিন বিদেশ ভ্রমণ ক’রে লণ্ডনে আসেন। তাঁর পুরুষোচিত চালচলন এবং মতামত সে যুগে বিস্ময়ের বস্তু ছিল। এবারে লেখা এবং অনুবাদ করা তাঁর জীবিকা হয়েছিল। পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে তাঁর প্রথম গল্প “অ্যামোস্ বার্টনের দুর্ভাগ্য” বাহির হয়। তাঁর ছদ্মনাম ‘জর্জ ইলিয়ট’ দেখতে দেখতে দেশবিখ্যাত হ’য়ে উঠে। তাঁর “অ্যাড্যাম বিড্”, চল্লিশ বৎসর বয়সে প্রকাশিত হয়। এর পর অনেক উপন্যাস তিনি লিখেছেন। “ফ্লস্ নদীতীরের কলবাড়ি”, (মিল অন দি ফ্লস্) “সাইলাস মার্ণার” “রমোলা” প্রভৃতি উপন্যাসে যে পাণ্ডিত্য ও ভূয়োদর্শন, যে অপূর্ব চরিত্র-চিত্রণ-শক্তি এবং যে গভীর অন্তর্দৃষ্টির পরিচয় তিনি দিয়েছেন, তার তুলনা যে কোনো সাহিত্যেই দুর্লভ। ইংলণ্ডে তাঁর আগে বা তাঁর পরে তাঁর চেয়ে বড় লেখিকা আজ পর্যন্ত কেউ জন্মাননি। উপন্যাসকে একাধারে আনন্দ বিতরণে এবং মান -চরিত্র ও মানব-জীবন সম্বন্ধে জ্ঞান বিতরণে তিনি সর্ব প্রথম কাজে লাগান, সেদিক দিয়েও তাঁর নাম চিরস্মরণীয়। জর্জ ইলিয়টের পরবর্তী লেখিকারা কেউই শার্লট, ব্রঁতে, জেন অষ্টেন বা ইলিয়টের সঙ্গে একাসনে স্থান পাবার যোগ্যা নন। তাঁদের সংখ্যাও