পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১২
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

জীবী; বণিক প্রভৃতির এবং তাদের মেয়েদের নিখুঁত ছবি আমরা দেখতে পাই। প্রতিদিন যে সব দৃশ্য আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় তাই নিয়ে সুলেখক কি অপূর্ব সৃষ্টি করতে পারেন, সারার বইগুলি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অ্যালিস ব্রাউনের ছোটো গল্পের বই “টাইভারটনের গল্প”, “মেঠো ঘাস”, “পাড়া গাঁয়ের পড়শী” প্রভৃতি এই জাতীয় স্বগ্রামের ঘরোয়া ঘটনা নিয়ে লেখা। চার্লস্ এগবার্ট ক্র্যাডকের “বিশাল ধুমল পর্বতের প্রেরিত পুরুষ”। “টেনেস পর্বতে” প্রভৃতি বই এমনি পাহাড়ীদের জীবনযাত্রার নিখুঁত ছবি। লেখিকা মেরী নোয়াইল্‌স্‌ “মরফ্রি” এই পুরুষের ছদ্মনামে লিখতেন। শৈশবে একটা দুর্ঘটনায় একটা পা খোঁড়া হ’য়ে যায়, সুতরাং কোনো পরিশ্রমের কাজ তাঁর দ্বারা চলত না, প্রতি বৎসর গ্রীষ্মকালে তাঁরা পাহাড়ে বেড়াতে যেতেন, তাঁর গল্প উপন্যাসগুলির চরিত্র সেই সব স্থানে বাসের সময়ে সংগ্রহ করতেন।

 “আশার বন্দী” “পাওয়া ও রাখা” প্রভৃতি উপন্যাসের লেখিকা মেরী জনষ্টন চিররুগ্না ছিলেন। ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমানের বাস্তব জগৎ মিলিয়ে তাকে কল্পনার রঙে রাঙিয়ে তুলতে তাঁর অসামান্য দক্ষতা ছিল। তাঁর লেখা আমেরিকার যুদ্ধের দুটি রোমাঞ্চকর গল্প “গুলি ছোঁড়া বন্ধ করো”, “দীর্ঘ উপস্থিতি গণনা” বিশেষ বিখ্যাত। ভার্জিনিয়া প্রদেশের বর্ণনা ইনি ছাড়া আর একজন শক্তিমতী লেখিকার পল্লী-উপন্যাসে পাওয়া যায় তাঁর নাম এলেন গ্লাসগো। এলেনের আমেরিকান গৃহযুদ্ধের গল্পগুলি বিশেষ প্রসিদ্ধ, তার মধ্যে সব চেয়ে শক্তিশালী রচনা তাঁর “জাতির মর্মবাণী”। এর পর শিশু-সাহিত্যের