পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১৮
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

কারাবাসকালে লেখা তাঁর “ভবিষ্যদ্বংশীয়দের প্রতি আবেদন” নামক প্রবন্ধটি তাঁর দেশপ্রেমের এবং মহানুভবতার নিদর্শন স্বরূপ আজও তাঁর স্মৃতি বহন করছে। মৃত্যুর পূর্বে তাঁর সুবিখ্যাত বাণী, “হায় স্বাধীনতা, তোমার নামে কত পাপই না সংঘটিত হয়।” ঐ যুগের আর একজন শ্রেষ্ঠ রাজনীতিজ্ঞা এবং রাজনৈতিক প্রবন্ধ লেখিকা মাদাম দ্য স্টায়েল্ (১৭৬৬-১৮১৭) তাঁর “রুশোর সম্বন্ধে চিঠি” বইখানির জন্য ফরাসী বিদ্রোহের প্রাক্কালে খুব বিখ্যাত হয়েছিলেন। বিদ্রোহীদের অনাচারের বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করে, তিনি কিছুদিনের জন্য দেশ থেকে নির্বাসিত হন। সম্রাট নাপোলেয়ঁর সময়ে দেশে ফিরে তিনি কিছুদিন পরেই তাঁর বিরুদ্ধে লিখতে আরম্ভ করেন এবং আবার নির্বাসিতা হন, তাঁর এই সময়কার লেখা “কোরিণ”, বিখ্যাত গ্রন্থ। উনবিংশ শতাব্দীর ফরাসী লেখিকাদের মধ্যে আমাঁদিন লুসিল্, ওরোর্ দুপ্যাঁ (১৯০৪-১৮৭৬), জর্জ স্যাণ্ড, এই ছদ্ম নামে নাটক এবং উপন্যাস লিখে জগদ্বিখ্যাত হন।

 ফ্রান্সের বর্তমান শতাব্দীর বিখ্যাত কবি এবং বিদুষী কঁতেস নোয়াইয় কবি সম্রাট রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচিতা ছিলেন। আজকের দিনের ফরাসী নারী কবিদের সঙ্গে আমাদের একে বারেই পরিচয় নেই।

 জার্মানীর প্রথম সুবিখ্যাত নারী কবি আভার পর বহু নারী সাহিত্য সেবার এবং পাণ্ডিত্যের জন্য প্রসিদ্ধি লাভ ক’রে গেছেন।

 শুরম্যান ছিলেন একাধারে বিখ্যাত কবি এবং বিখ্যাত চিত্র শিল্পী, জার্মানীতে তাঁর সময়ে তাঁর মতো সুপণ্ডিত পুরুষও অল্পই ছিল।