পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬৮
সাহিত্যে নারী : স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

নয়! তার পূর্বে বা পরে আর কেহ এ চিত্র অঙ্কিত করতে পারেন নি। যেমনি দৃপ্ত সিংহিনীর মত তেজস্বিতা, তেমনি সর্বশাস্ত্রে ও কূট রাজনীতিতে অখণ্ড অধিকার, তেমনি আবার নারীধর্মে ভগবদ্ভক্তিতে এবং অতিথিসেবায়, রন্ধনাদিতে অসাধারণ পারদর্শিতা দশভুজা দুর্গার মতই যেন এ মেয়ে দশকর্মান্বিতা। পাণ্ডবের সমস্ত সুখ-সম্পদে দ্রৌপদী তাঁদের সর্বোত্তম ঐশ্বর্য্য, শ্রীকৃষ্ণের মতই কৃষ্ণাকেও যেন তাঁর সম পর্যায়ে ধরা চলে।  সুভদ্রা গান্ধারী কুন্তী সত্যবতী ভারত-চিত্রের বরণীয়া নারী। কর্তব্যের অটুটতায় পরোপকার বৃত্তির চরমোৎকর্ষে, সুদৃঢ় ধর্মবিশ্বাসে এই সকল নারীর জগতে আদর্শস্থানীয়া গান্ধারীর মত কুন্তীর মত মা-ই যথার্থ জননীপদবাচ্যা।

 মাতৃচরিত্র অঙ্কনে মহাভারতকার জগতের সাহিত্যে অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

 প্রকৃত মাতৃপদবাচ্যা ভারতনারীদের যে সব পরিচয় পৌরাণিক সাহিত্যে পাই, তাঁদের সংখ্যা নিতান্ত অল্প নয় এবং যাঁরা অখ্যাতপরিচয় থেকে গেছেন, নিশ্চয়ই তাঁরা আরও বহুতরাই ছিলেন। মদালসা সর্ববিদ্যা বিশারদা, তিনি পুত্রগণকে অধ্যাত্মবিদ্যা দান করে পরলোকে উচ্চ স্থানাধিরোহণের সহায়তা করেছেন।

 পরপুত্রের প্রাণরক্ষার জন্য কুন্তীর নিজের পুত্র ভীমকে রাক্ষসের মুখে প্রেরণ করার মধ্যে কত বড় মহত্ত্ব নিহিত রয়েছে আজকের দিনের মা আমরা তার কি বুঝবো!

 গান্ধারী দুর্মদ সমর সাগরে ঝম্পপ্রদানোদ্যত মাতৃআশীর্বাদাকাঙ্ক্ষী পুত্রকে এই বলে আশীর্বাদ করলেন; “যতো