পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী
২৮৫

“দারুণ মানের ভরে করেছি তার অপমান।
মানেতে হইয়া হত কুবাক্য বলেছি কত’’

 সুযোগ্যা সখী গুরু-মন্ত্রদাতা পরম বান্ধবের মতই এই বিরহ-পারের মিলন-সেতু রচনা করে সহানুভূতি উদ্রেককর এই বার্তা গিয়ে শোনাচ্ছেন,—

“রাধিকা বিরহে তব কেশব—
কৃশতনুরিবভারম্‌।
হরিরিতি হরিরিতি জপতি অশেষম্‌—
বিরহবিহিত মরনেন নিকামম্‌।”

বিরহিনীর বিরহ-দুর্দ্দশা বর্ণনা করতে বিদ্যাপতির সখিরাও বড় একটা কম যান না। তাঁরা কত বিভঙ্গেই তাঁদের সখির অবস্থা বর্ণনা করছেন দেখুন না;—

“মাধব কত পরবোধব রাধা,
হা হরি, হা হরি, কহতহি বেরি বেরি, অব জিউ করব সমাধা।
ধরণী ধরিয়া ধনি যতন হি বৈঠত, পুনহি উঠতি নাহি পারা।”

ঘনশ্যাম দাসের সখিরাও আবার এইসঙ্গে যোগ দিয়ে দিলেন;—

‘‘সুচির বিরহে যব ক্ষীণ কলেবর—
বিগলিত ভূষণ বেশ,
আছয়ে তোহারি পরশরস লালসে—
কেবল জীবন শেষ।”

 এই ত কাণ্ড! অথচ যেই প্রিয় সন্দর্শন হ’ল, আর মান অভিমান রইল না; চণ্ডীদাসের রাধা গদ্‌গদ্‌স্বরে বলতে লাগলেন;—