পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী
২৯৫

“তোরে আমি বলি ভাল,  স্বামীর বসতি চল,
পরিণামে পাবে বড় দুখ।
শুন হের মূঢ় মতি  যদি ছাড় নিজ পতি
কেমনে তরিবে লোক মুখ॥

স্বামী সন্তোষে বসায়ে খাটে,  অপরাধে নাক কাটে,
দণ্ডরাজা বনিতার পতি।
শুন গো শুন গো সই,  হিত উপদেশ কই,
ইতিহাসে কর অবগতি॥

তোরে দেখি যে উত্তম জাতি,  দেবতা সমান কাঁতি
কার্য্য কর নিচের সমান।
ছাড়িয়া পতির পাশ,  আইলা পরের বাস
আপনার কি সাধিতে মান!”

 ব্যাধ-পত্নী চরিত্রের সর্বাঙ্গীন পরিপূর্ণতা আমাদের অতি বিস্ময়ে জানিয়ে দেয়, ভারতীয় সমাজের সর্বনিম্নস্তরেও সে সব দিনে সতীধর্মও ধর্ম-প্রাণতা কতখানিই প্রসার লাভ করেছিল।

 বেহুলার পাতিব্রত্য ও অসম সাহসিক প্রচেষ্টা সর্বজন সুবিদিত। লক্ষ্মীন্দরের মাতা সনকা সমস্ত সন্তান হারিয়েও স্বামীর ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধতা না করে সহধর্মিণী শব্দের মর্য্যাদা রক্ষা করেছিলেন।

 দেবী দত্ত ধন পেয়ে কালকেতু নগর পত্তন করে রাজা হ’য়ে বসেছেন। পাঁচজনের কাণ ভাঙ্গানীতে কলিঙ্গেশ্বর যুদ্ধে কালকেতুকে বন্দী করালে। ফুল্লরা গলায় কুঠার বেঁধে