“তার শমনে ভয় কি, মা যার শ্যামা?
অন্তে যাব তাঁর ধামে বাজাইয়া দামা।”
বর্দ্ধমানের মহারাজাধিরাজ মহতাবচন্দ্রের ভোগৈশ্বর্যের অভাব ছিল না, তবু যা’ নেই তারই জন্য মায়ের কাছে দরবার করতে ছাড়েননি;—“চন্দ্রে মোক্ষ প্রদায়িনী হওগো ভবাণী!”
মহারাজ যতীন্দ্রমোহন বিষয়ী লোক, আইন-আদালতের খবরটা রাখেন ভাল, নালিশ জানাচ্ছেন;—
—“শিবের মাগো অবিচার ভারী।
মাতৃধনে ছেলেয় ফাঁকি, নিজেই হ’ন তার অধিকারী।”
রাজা সৌরীন্দ্রমোহন বিশ্বেশ্বরী মায়ের পরিবর্ত্তে তদানীন্তন ভারতেশ্বরীকে রাজসিক উপাসনায় পূজা প্রদান ক’রে সকাম সাধনার চরম দেখিয়েছেন! যথা;—
“বিশাল তড়াগনীরে শোভে যথা কমলিনী,
অয়ি মাতঃ ভিক্টোরিয়া ইংলণ্ডে তুমি তেমনি।”
এই মাতৃভক্তদের মধ্য দিয়ে সহসা এক পার্থিবজননীর ভক্ত সমাগম হয়েছিল, কান্ত কবি রজনীকান্তের মতই।[১] তিনি রাজা মহিমারঞ্জন রায়, বিশ্বমাকে নয়, নিজের গর্ভধারিণী মাকে উদ্দেশ ক’রে তিনি শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন;—
“ও মা সাক্ষাৎ ঈশ্বরী, আমায় গর্ভে ধরি কত না যাতনা পেয়েছ,
এ প্রাণ থাকিতে, পারিনে ভুলিতে, কত যত্ন তুমি করেছ।”
মাকে গর্ভে ধরার গুদামভাড়া দিয়ে চুকিয়ে দে’বার নীতি
- ↑
‘‘স্নেহ বিহ্বল, করুণা ছলছল,
শিয়রে জাগে কা’র আঁখিরে!’’ ইত্যাদি…