পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৩৬
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী

ছদ্মবেশ ধরেছেন। ‘‘স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়রে’’র মতই;—

“জ্বল জ্বল চিতা দ্বিগুণ দ্বিগুণ।”
পরাণ সঁপিবে বিধবাবালা”।

এ গানও একদা বাংলার ছেলেমেয়েদের কণ্ঠস্থ ছিল। “অলীক প্রকাশ” ‘‘অশ্রুমতী” প্রভৃতি নাটক সেদিন মহাসমারোহে অভিনীত হ’ত। তাঁর নারীচরিত্র সুচিত্রিত হলেও প্রতাপসিংহ কন্যার প্রেমচিত্র একান্তই অসঙ্গত।

 কবি নবীনচন্দ্র সেনের ‘‘অবকাশঞ্জিনী” (দুই খণ্ডে) নানা জাতীয়া নরনারীর বাস্তব চিত্র, অর্থাৎ নিরাবরণ নারী-চিত্র এঁকে তিনি উত্তর কালের কবিদের পথপ্রদর্শন করেছেন! “কোন এক বিধবা রমণীর প্রতি’’ প্রভৃতিতে আমরা তাঁর রুচির প্রশংসা করিনি। অভাগিনী “বাল্যবিধবা’’র প্রতি প্রলোভনকারী পুরুষের নির্হৃদয়-বিশ্বাসঘাতকতার কদর্য চিত্রাবলী সুললিত শ্লোকচ্ছন্দে প্রদর্শন, কাব্যজগতের পুষ্প-বিতানে কণ্টকাকীর্ণ বিষতরুর স্থানই গ্রহন করে; তাদের আর কোন সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায় না। মহাকাব্যে অবশ্য অনেক কিছুরই প্রবেশপথ অবারিত। খণ্ডকাব্যে এদের স্থান সৌন্দর্য সৃষ্টির (বা আর্টের) দিক থেকে বা সমাজ পুষ্টির পক্ষ থেকে কোনদিক দিয়েই শোভা বা স্বাস্থ্যপ্রদ নয়।

 তাঁর “রৈবতক”, “কুরুক্ষেত্র,” “প্রভাস”গ্রন্থে তিনি আমাদের পৌরাণিকী চিরপরিচিতাদের অর্দ্ধাবগুণ্ঠন মোচন করে তাঁদের কারু কারু প্রকৃত রূপ আমাদের চোখের সামনে ধরে দিয়ে চক্ষু সার্থক করিয়েছেন, যেমন সত্যভামা (মানের ঢেঁকি,