পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
সাহিত্যে নারী : স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

তবু যে ক’জনের নাম পাই এবং তাদের লেখার যেটুকু নমুনা পাই, তা’ থেকে সে যুগের নারীর ধীশক্তির এবং পাণ্ডিত্যের জন্য শ্রদ্ধা এবং গৌরব অনুভব না করে থাকা যায় না। থেরীগাথা নামক একটি গাথা-সংগ্রহে প্রথম যুগের তিয়াত্তর জন থেরীর রচনা পাওয়া যায়: তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের নাম এই:  পূর্ণা, ভিষ্যা, ধীরা, মিত্র, ভদ্রা, উপশমা, মুক্তা, ধর্মদণ্ডা, বিশাখা, সুমনা, উত্তরা, ধার্ম, সঙ্ঘা, জয়ন্তী, আঢ্য কাশী (বা অর্ধকাশী) চিত্রা, মিত্রিকা, অভয়া, শ্যামা, উত্তমা, দন্তিকা, শুক্লা, শৈলা, সোমা, কপিলা, বিমলা, সিংহা, নন্দা, মিত্রকালী, বকুল, সোনা, চন্দ্রা, পটাচারা, বাশিষ্ঠী, ক্ষেমা, সুজাতা, অনুপমা, মহাপ্রজাবতী (ব, মহাপ্রজাপতি) গৌতমী, গুপ্তা, বিজয়া, চালা, উপচালা, বৃদ্ধমাতা, কৃশা গোতমী, উৎপলবর্ণা, পূর্ণিমা, অম্বপালী, রোহিণী, চম্পা, সুন্দরী, শুভ্রা, ঋষিদাসী, সুমেধা।  ‘থেরী’ অর্থে স্থবিরা বৌদ্ধ তপস্বিনী, এঁদের মধ্যে অনেকে বুদ্ধদেবের জীবিতকালেই গাথা রচনা করেছিলেন। আজ থেকে আড়াই হাজার বছরেরও আগে লেখা এই সব গাথা আজকের দিনেও যে কোনো সুকবির লেখার পাশে অনায়াসে স্থান পেতে পারে। এঁদের মধ্যে কয়েক জনের সম্বন্ধে দু’এক কথা বলব। বুদ্ধের শিষ্যাদের মধ্যে তাঁর বিমাতা গোতমীর পরেই ক্ষেমা এবং উৎপলবর্ণার স্থান নির্ণীত হয়েছে, তাঁরা ছিলেন বুদ্ধের অগ্রশ্রাবিক। ক্ষেমা মগধরাজ বিম্বিসারের প্রিয়তমা মহিষী ছিলেন, অপরূপ রূপলাবণ্যের গর্বে তিনি বুদ্ধকেও গ্রাহ্য ক'রতেন না। ঘটনাক্রমে একদিন বেণুবনে বেড়াতে বেড়াতে তিনি বুদ্ধের