পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪৬
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী

চিত্রাঙ্গদা তপস্যালব্ধ কৃত্রিম রূপের প্লাবনে প্রেমাস্পদকে প্লাবিত করে দিয়েও শান্তি পায়নি। তার প্রেমের সার্থকতা আত্মপ্রকাশে;—

 আমি চিত্রাঙ্গদা।
দেবী নহি, নহি আমি সামান্যা রমণী।
পূজা করি রাখিবে মাথায়, সে-ও আমি
নই, অবহেলা করি পুষিয়া রাখিবে
পিছে, সে-ও আমি নহি। যদি পার্শ্বে রাখ
মোরে সঙ্কটের পথে, দুরূহ চিন্তার
যদি অংশ দাও, যদি অনুমতি কর
কঠিন ব্রতের তব সহায় হইতে,
যদি সুখে দুঃখে মোরে কর সহচরী,
আমার পাইবে তবে পরিচয়।

 যৌবনমদদৃপ্তা বাসবদত্তার জীবনের চরমোৎকর্ষলাভই কবির বর্ণিত বিষয়, তার লাস্যলীলার চটুলতার নয়। অম্বপালির মহৎদান; “অরণ্য আড়ালে রহি কোন মতে, চিরবাসখানি ফেলি দিল পথে” সেই ভিখারিণীর শ্রেষ্ঠদান, দুর্ভিক্ষপীড়িত আর্তজনের সেবায় ভিক্ষুণী সুপ্রিয়া যে সুচিন্তিত সাহসিকতা দেখিয়েছিলেন যে মহৎ দৃষ্টান্ত আজকের দিনে মেয়েদের পক্ষে একান্তভাবেই অনুকরণীয়, কবিববের অমর তুলিকাপাতে এসব প্রাচীন চিত্র চিরন্তন হয়ে থাকবে।

 ‘‘লক্ষ্মীর পরীক্ষা” তাঁর সর্বপ্রকার নারীচিত্রের একটি প্রতিযোগিতা; এই পরীক্ষায় ডবল প্রমোশন পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন রাণী কল্যাণী।