পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
৩৫৯

গ্রন্থখানিতে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের সমগ্র উন্নত ভাবের সমন্বয়ে নারীজাতির সমস্ত কর্তব্যাকর্তব্য নির্দিষ্ট রয়েছে। উদাহরণ সমূহেও ভালমন্দ নারীর জীবন্ত দৃষ্টান্তও অনেক দেখান হয়েছে। “বৌ-টকি শ্বাশুড়ী”, অ-গৃহিণী সু-গৃহিণী প্রত্যেকটি নারীচরিত্রের বিচিত্র চিত্রে শিক্ষিত হিন্দুসমাজের বিধিবিধান নির্দিষ্ট আছে। তা মাত্র আজকের বা কালকের জন্যই নয়, চিরদিনের,সনাতনী বা পুরাতনী নহে, চিরন্তনী।

 তাঁর রূপকালঙ্কারে অলঙ্কৃত পুস্পাঞ্জলিতে মাতৃরূপের প্রথম মূতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তারই টীকাভাষ্য বঙ্কিমের আনন্দমঠ।

 তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুপ্রসিদ্ধ উপন্যাস‘স্বর্ণলতা” সে-দিন বাংলা সাহিত্যে এক অপূর্ব বিস্ময়ের সঞ্চার করেছিল। ‘স্বর্ণলতায়” স্বর্ণলতার চেয়ে “প্রমদা” ও “সরলাই প্রধান চরিত্র। প্রমদার মা-টীও বড় কম যান না। বাঙ্গালীর তদানীন্তন জীবনধারা অবলম্বন করে এই যে কাহিনীটী রচিত হয়েছিল—বলতে গেলে আধুনিক বাস্তব উপন্যাসের এই প্রথম বস্তুরূপ। নারীচরিত্র না হলেও একদা নারীর ছদ্মবেশে পলায়নপর “গডাটরচণ্ড্র” লেখকের অপূর্ব সৃষ্টি!তার “হরিষে বিষাদের পদি-পিসি সার্বজনীন পিসিরূপে আজও বঙ্গসমাজে জীবিত আছেন। “অদৃষ্টের সুলোচনা, জয়দুর্গার। এরা খাঁটি বাঙ্গালার মেয়ে, এদের মধ্যে পাশ্চাত্যের ছাপমাত্র নেই।

 “যোগীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কনেবউ” সে-দিনে পাঠক, বিশেষতঃ পাঠিকসমাজে যথেষ্ট আদর লাভ করেছিল। “বড়ভাইয়ের শৈলজা, “বিমাতা”র তারাসুন্দরী ও চারু,