অম্বপালী যৌবনেই থেরীপদ লাভ করেন। থেরী গাথায় আমরা তাঁর বার্ধক্যের উক্তি পাই, “আমার ভ্রমরকৃষ্ণ চুল আজ শণের মতো সাদা হয়েছে! যে চুলে আমি চাঁপা করবী গুঁজে রাখতুম সে এখন শশকের লোমের মতো কুৎসিৎ। আমার সুনীল আয়ত নেত্র এক দিন মণির মতো ভাস্বর ছিল, আজ তা মলিন। আমার স্বর্ণবর্ণ সুন্দর উঁচু নাক আজ শুকিয়ে ঝুলে পড়েছে... বর্তুল অর্গলের মতো বাহু দুটি নত এবং দুর্বল হয়েছে।”
অধ্যাপক সুকবি ৺বিজয়কুমার মজুমদারের কবিতাটী হইতে সামান্য উদ্ধৃত করলেম:
“সুরভিত কালকেশে বেণী হত রচিত;
স্বর্ণভূষণে হয়ে খচিত।
দুলিত শোভায় সাজি,
স্খলিত জরায় আজি,
আজি মোর শির কেশ-রহিত,
সত্য বচন তাঁর অন্যথা কোথা বা?”
“সোনার শাঁখের মত ছিল যার শোভা গো,
এই কি আমার সেই গ্রীবা গো?
জরায় গিয়েছে ভেঙ্গে, ঝুলিয়া পড়েছে নেমে,
এ দেহের গৌরব কিবা গো?
সত্য বচনে তাঁর অন্যথা কোথা বা?”
বৌদ্ধযুগের প্রথম দিকে মগধের তৎকাল প্রচলিত পালিভাষাতেই বৌদ্ধ ধর্মের অধিকাংশ বই লেখা হয়েছিল। বৈদিক সংস্কৃত সে সময়ে অপ্রচলিত হ'য়ে গেছে, সাধারণলোকের মধ্যে বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন প্রাকৃত ভাষা চ'লছে। সংস্কৃত তখন