পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী : স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
৩৯

সভাসদ এবং রাজপুরুষদের দায়িত্বপূর্ণ কাজে নিযুক্ত হতেন, তার প্রমাণ আছে।

 আজ থেকে প্রায় পৌনে পাঁচহাজার বছর আগে সম্রাট হোয়াংতি বিচ্ছিন্ন চীনকে একত্র করে ‘চীনজাতির জনক এবং ‘পীত সম্রাট’ উপাধি পান। এই সম্রাটের উপযুক্ত পত্নী লেইৎসু সর্বপ্রথম রেশম আবিষ্কার করে জগতের কৃতজ্ঞতা অর্জন করেছেন। চীনের পরবর্তী যুগের বিদুষীদের মধ্যে খৃষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে স্থান সম্রাট চেংটির প্রিয়পাত্রী বিদুষী ‘প্যানচিয়ে-উ’র নাম উল্লেখযোগ্য। এক সময়ে সম্রাট একে অতিরিক্ত সম্মান দেবার জন্য রথে করে নিজের সঙ্গে নগর ভ্রমণে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, তাতে তিনি বলেন “প্রাচীনকালে সম্রাটরা সুবিজ্ঞ মন্ত্রীদের নিয়ে ভ্রমণে যেতেন, নারী নিয়ে ভ্রমণে রাজমর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। পরে অন্য রূপসী এবং বিদুষী এক নারীর মোহে সম্রাট তাঁকে অনাদর করায় ‘প্যান চিয়ে-উ’ সম্রাটকে একটি পাখার উপর এই কথাগুলি একটি সুন্দর কবিতায় লিখে পাঠান। “গ্রীষ্মবসানে হত-গৌরব শরৎকালের পাখার মতো আমি আজ অনাদৃত হয়ে পড়ে আছি। দিনগুলির মতো আমিও বেঁচে থেকেই বিস্মৃতির গর্ভে বিলীন হয়ে গেছি।” শেষ বয়সে রাজমাতার সেবা এবং ধর্মচর্চায় তার দিন কাটে, তার সেই ‘শরৎকালের পাখা কথাটি চীনদেশে আজও অনাদৃতা নারীর সমর্থবোধক হয়ে আছে।

 খৃষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে সম্রাট ‘ট্‌শাও জুই'এর (২০৫-২৪০) রাজত্বকালে নারী-সভাসদ এবং রাজপুরুষ নিয়োগের ব্যবস্থা ছিল। সম্রাটের কয়েকজন প্রধান রাজকর্মচারী ছিলেন নারী। খৃষ্টীয়