পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
৪৫

কথা উঠলেই,হে মন্মথ, আমার যেন মৃত্যু হয়। বলা বাহুল্য, তাঁর সমাজের লোক তাঁর ভক্তির এবং বৈরাগ্যের অকৃত্রিমতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিল এবং জীবিত অবস্থাতেই তার সাধনার মাহাত্ম্য স্বীকার করে তাঁকে ঋষি বা ‘আলোয়ার’ পদে বরণ করেছিল। তামিল জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ ‘কুরাল’এর লেখক সাধকপ্রবর তিরুবল্লভনের আবির্ভাবের সময় নিয়ে মতভেদ আছে, তবে তিনিও অষ্টম নবম শতাব্দীর মধ্যে বর্তমান ছিলেন বলে অনুমিত হয়। তার উপযুক্ত ভগ্নী ‘অভভেই এই যুগের সুলেখিকা ছিলেন। তাঁর লেখা ‘অত্তিসুদ্দি’ (আত্মশুদ্ধি) এবং কোরেইভেইদান্ নামক নীতিবাক্য এক সময়ে খুব প্রসিদ্ধ ছিল, আজও মাদ্রাজ প্রদেশে অনেক বিদ্যালয়ে এর কোনো কোনো অংশ পড়ানো হয়।

 নবম শতাব্দীতে চীনসম্রাট টেংশুর সময়ে পাঁচটি বোন অলৌকিক সৌন্দর্য এবং অসাধারণ পাণ্ডিত্যের জন্য খ্যাতি লাভ করেন। তাঁদের মধ্যে চারজন সম্রাটের মহিষী হন, অন্যতম ‘সুংজোচাও' চিরকৌমার্য এবং চির দারিদ্র্যের ব্রত নিয়ে জ্ঞানচর্চায় জীবন কাটিয়ে চীনবাসীর স্মৃতির অমরাবতীতে স্থান লাভ করেন।

 নবম শতাব্দীতে ইংলণ্ডেশ্বর অ্যালফ্রেডের মা ‘অস্‌বার্গা' বিদুষী এবং বিদ্যোৎসাহী ছিলেন, প্রধানতঃ তাঁরই চেষ্টায় অ্যালফ্রেড, সেই অ-শিক্ষার যুগে শিক্ষিত এবং সুশাসকরূপে খ্যাতি লাভ করেন। দশম শতাব্দীতে স্পেনে দ্বিতীয় হাকাম নামক একজন রাজা ছিলেন, তার মতো বিদ্যোৎসাহী মুসলমান নরপতি মুসলমানদের মধ্যে খুব কমই জন্মেছেন।তাঁর রাজত্ব কালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে চারলক্ষ হাতে লেখা পুঁথি