পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সাহিত্যে নারী: স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

ভূমিকা

 শ্রীযুক্ত রণেন্দ্র মোহন ঠাকুর ও শ্রীমতি সুলাজিনী দেবীর একমাত্র কন্যাসন্তান এবং আশুতোষ চৌধুরীর পুত্রবধু ও আর্য্যকুমার চৌধুরীর পত্নী লীলা দেবীকে প্রথম দেখি মাসিক পত্রের পৃষ্ঠায় তাঁর একটী আলোকচিত্রের মধ্য দিয়ে। চিত্রটির নাম করণ করা হয়েছিল, “শিল্পী"।

 রূপের পূজারী জগতে কে’ নয়? মানুষ থেকে ক্ষুদ্র পতঙ্গেরাও মৃত্যুরূপী অগ্নিশিখার রূপে আকৃষ্ট হয়ে আত্মোৎসর্গ করে। ঐ ছবি যদি চিত্রকরের কল্পনা প্রসূত চিত্র হ’ত, অতটা আকর্ষণীয় হত’না, ফটো-চিত্রটী এতই আকর্ষণীয় যে তার পরিচয় না জেনে স্থির থাকা গেলনা। “ভারতবর্ষের” কল্যাণে তাঁকে নানান ভাবাভিব্যক্তিতে আমরা মধ্যে মধ্যে দেখতেই পেতাম। কখনও “প্রতীক্ষা পরায়ণা,” কখনও “উপাসিকা,” কখনও ‘পূজারিণী” এই সকল লীলা-সুন্দর অবস্থানে মূর্ত্তিগুলি সুন্দরতর হয়ে উঠেছিল। ঐ চিত্ররূপ দেখতে আমার অত ভাল লাগার মধ্যের একটা নিগূঢ় কারণও অবশ্য বর্ত্তমান ছিল। আমার প্রিয় বন্ধু বেলার (রবীন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠা কন্যা মধুরীলতা) সঙ্গে ওঁর মুখের বেশ একটুখানি সৌসাদৃশ্য ছিল, হয়ত সেই জন্যই ভিতরে ভিতরে ঐ চিত্র-কন্যাটি আমায় একটু বিশেষ ভাবেই আকৃষ্ট করে থাকবে। তারপর লীলা দেবীর সঙ্গে আমার বহুবার দেখা সাক্ষাৎ ঘটেছে। প্রথম দেখা হয় স্নেহাস্পদা প্রীতিলতা কাঞ্জিলালের বাড়ীতে। বেলারই মত মিষ্ট স্বর, আমার লেখা উপন্যাস সম্বন্ধে উচ্চ ধারণা পোষণ করেন সে কথাও বলেন।