পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী
৬০

লক্ষ্মীদেবী ঠাকুরাণী, প্রিয়ম্বদা, বৈজয়ন্তী, মানিনী, সুভদ্রা, বেণীদত্তা, মধুরবর্ণী এবং চন্দ্রকান্তা ভিক্ষুণীর নাম উল্লেখযোগ্য। এঁদের কয়েকজনের কবিতার একটু আধটু উদাহরণ দে’ব। কবি কেরলী সরস্বতীর বন্দনা করছেন:

“যস্যাঃ স্ব-রূপমখিলং জ্ঞাতুং ব্রহ্মাদয়োহপি ন স্পষ্টাঃ।
কামগবী সুকবীনাং সা জয়তি সরস্বতী দেবী॥”

‘‘যাঁর প্রকৃতরূপ ব্রহ্মাদিও স্পষ্টরূপে সম্পূর্ণ জানতে পারেন না, যিনি সুকবিদের কামধেনু স্বরূপা (সকল কামনা পূর্ণকারিণী) সেই সরস্বতী দেবীর জয় হোক।” কবি পদ্মাবতী গ্রীষ্মবায়ুর বর্ণনা দিচ্ছেন:

“ধূলীকর্করিণঃ প্রচণ্ডতপনজ্বালালি-মালা ধরাঃ
স্পর্শাদেব সরিজ্জলং তরুদলং সংশোষয়ন্তক্ষণাৎ।
পীতোন্মুক্ত ফণীশ-ফুৎকৃতি-বিষ-জ্বালালি যুক্তা ইব
স্বচ্ছন্দং পরিতো ভ্রমন্তি বহুশো গ্রীষ্মস্য বাতা অভী॥”

 গ্রীষ্মের হাওয়া ধূলো কাঁকর নিয়ে প্রচণ্ড রৌদ্র জ্বালার মালাপরে নির্ভয়ে ইচ্ছামতো চতুর্দিকে ঘুরছে। তার স্পর্শমাত্র নদীর জল এবং গাছপালা শুকিয়ে যাচ্ছে। (সমুদ্রমন্থন কালে) ছাড়া পাওয়া সর্পরাজের ফুৎকার নিঃসৃত বিষের জ্বালা যেন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।”

 দক্ষিণ ভারতে বিদ্যাবতী এবং নেপালে চন্দ্রকান্তা ভিক্ষুণী ধর্মপ্রাণা নারী ছিলেন। প্রথমার সুদীর্ঘ মীনাক্ষীস্তোত্র থেকে প্রথম দু’পংক্তি দেওয়া হ’ল:

“যা দেবী জগতাং কর্ত্রী শঙ্করস্যাপি শঙ্করী।
নমস্তস্যৈ সুমীনাক্ষ্যৈ দৈব্যৈ মঙ্গলমূর্তয়ে॥’