পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী
৭৫

শ্রদ্ধা ছিল, পর বৎসর ইংলণ্ডে গিয়ে তিনি ভারতের অতীত গৌরব সম্বন্ধে বহু গবেষণাপূর্ণ বক্তৃতা দেন। ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দ থেকে ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত রমাবাই চেলটেন্‌হামের নারী কলেজে সংস্কৃতের অধ্যাপিকা নিযুক্তা ছিলেন। সেখান থেকে আমেরিকায় গিয়ে কিণ্ডারগার্ডেন প্রণালী শিখে এবং বোষ্টন নগরে হিন্দু বিধবাদের সাহায্যের জন্য ‘রমাবাই সমিতি’ গঠন করে বোম্বাইয়ে ফিরে আসেন। বোম্বাইয়ে একটি বিধবাশ্রম স্থাপন ক’রে সেইটির পরিচালনার ভার নিয়ে তিনি অবশিষ্ট জীবন যাপন করেন। ১৯২৭ সালে এই সুপণ্ডিতা নারীর কর্মময় জীবন শেষ হয়। ইংরেজীতে ‘উচ্চ জাতীয়া হিন্দু নারী’ তাঁর বিখ্যাত বই।

 খৃষ্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে কুম্ভকোণমের দেব-নর্তকী জ্ঞানসুন্দরী কয়েকটি সংস্কৃত কাব্য রচনা ক’রে মহীশূর রাজদরবার থেকে ‘কবিরত্ন’ উপাধি পেয়েছিলেন। মাদুরার শৈব ধর্মের জয়গান ক’রে তিনি ‘হয়শালা চম্পূ কাব্য’ লিখেছেন। শ্রীদেবী বালরাজ্ঞীর ‘চম্পূ-ভাগবৎ’, ভাগবৎপুরাণের সংক্ষিপ্ত গদ্যপদ্যময় সংস্করণ। মহীশূরের বিখ্যাত সংস্কৃত কবি ‘সুন্দর বল্লী’র ছয়সর্গে লেখা তেলুগু অক্ষরে ছাপা ‘রামায়ণ চম্পূকাব্য’ এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য।

 বিংশ শতাব্দীর সংস্কৃত কবিদের মধ্যে মারাঠী বিদুষী অনসূয়া কমলাবাই বাপটের “শ্রীদত্তপঞ্চামৃত” নামক দত্তাত্রেয়দেবের পূজাবিধি বিশেষ করে মহারাষ্ট্র দেশের জন্যই লেখা। তা’তে প্রথম দু’সর্গ তাঁর নিজের লেখা, বাকি অংশ অন্য লেখকদের লেখা থেকে সঙ্কলন।