পাতা:সাহিত্য-মীমাংসা - বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের লক্ষণ ૨ ૭ শব্দাত্মক সাহিত্যের স্বরূপ বিচারের ক্ষেত্রেও তৃষ্ণৗম্ভাবই শেষ পর্যন্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক । সত্য বটে, কাব্যের শরীররূপী শব্দ, ছন্দঃ, অলঙ্কার, রীতি, গুণ,—এই সকল উপাদান পৃথকভাবে বিশ্লিষ্ট করিয়া লইলে, কাব্যবস্তুর উপলব্ধিগোচর আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। কিন্তু শব্দ, ছন্দ, অলঙ্কার, রীতি ও গুণ এই কয়টির সমষ্টিই যে কাব্যের নিঃশেষ উপাদান, ইহাতেও সহৃদয়ের চিত্ত সায় দিবে না। শব্দ, রীতি, গুণ প্রভৃতির মধ্য দিয়াই তাহার প্রকাশ, অথচ তাহ শব্দ রীতি প্রভৃতির সহিত অভিন্ন নহে। প্রতিভ চক্ষু (intuition) দ্বারা যাহা বোধগম্য, তাহাকে বিচারবুদ্ধি ও বিশ্লেষণের দ্বারা বর্ণনা করা দুরূহ। কাব্যশরীর বিশ্লেষণ ও বিচারবুদ্ধির দ্বারা বেন্ত, কিন্তু তাহার আত্মা অনুভবগম্য। তাহাকেও অপহৃব করা সম্ভবপর নহে। “যুক্ত্য পর্যন্তযুজ্যেত স্ফরম্নমুভব কয় ?