পাতা:সাহিত্য-মীমাংসা - বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য্য.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য ও রসতত্ত্ব 83 রিসোৎপত্তি’। সেই জন্য ভট্টলোল্লট সাহিত্য-মীমাংসকগণের মধ্যে উৎপত্তিবাদী’ বলিয়া পরিচিত। ভাল কথা, ঐতিহাসিক দুৰ্য্যন্তের হৃদয়ে ‘রস যে উৎপন্ন হইয়াছিল, তাহা স্বীকার করিয়া লওয়া গেল। কিন্তু এই উৎপত্তি’র প্রতি কারণ কোনটি ? *বিভাব, অমুভাব এবং সঞ্চারিভাবের সংযোগ্যবশত রসের উৎপত্তি হয়”— ইহাই তো ভরতাচার্যের রসস্থত্রের আপাতদৃষ্টিতে সরল অর্থ। কিন্তু সংযোগ শব্দটির অর্থ কি ? রসোৎপত্তির প্রতি উহাদের পরস্পর উপযোগিতাই বা কতটুকু ? উত্তরে লোল্লটাচার্য বলেন : সংযোগ’-শব্দের সাধারণ অর্থ সম্বন্ধ । কিন্তু সম্বন্ধ তো নানাপ্রকার হইতে পারে। কার্যকারণভাব হইতে পারে, জ্ঞাপ্য-জ্ঞাপকভাব হইতে পারে, উৎপাদ্য-উৎপাদকভাব হইতে পারে, আশ্রয়াশ্রয়িভাব হইতে পারে । অণরও কত প্রকার যে হইতে পারে, তাহার কোনও ইয়ত্তা নাই। তবে, রসসুত্রে সম্বন্ধবাচক সংযোগ’-শব্দের বিশিষ্ট অর্থ কি ? কোন বিশেষ সম্বন্ধটি ইহার দ্বারা বোধিত হইতেছে, কাহার সহিতই বা এই সম্বন্ধ ? ভট্টলোল্লট বলেন : রসস্থত্রে সংযোগ’-শব্দটি তিনটি বিশেষ বিশেষ সম্বন্ধকে বুঝাইতেছে। কেননা, বিভাব, অনুভব এবং সঞ্চারিভাবের সহিত রসাত্মক চিত্তবৃত্তির সম্বন্ধ তিন প্রকার। বিভাবের সহিত রসের উৎপাদ্য-উৎপাদকভাব সম্বন্ধ, অনুভবের সহিত গম্য-গম্যকভাব সম্বন্ধ, এবং ব্যভিচারিভাবের সহিত রসের সম্বন্ধ পোষ্য-পোষকভাব । একই “সংযোগ’পদ বিভিন্ন পদের সহিত অন্বয়বশে তিনটি বিভিন্ন সম্বন্ধবিশেষের বোধক ৷” লোল্লটাচার্যের মতে রতি প্রভৃতি আটটি স্থায়িভােবই 'রস'– স্থায়িভাব ও রসাত্মকচিত্তবৃত্তির মধ্যে কোনও স্বরূপগত বৈষম্য নাই। উহারা পরস্পর অভিন্ন। ঐতিহাসিক মহারাজ দুৰ্যস্তের হৃদয়ে শকুন্তলা-বিষয়ক রতিভাবের ১. এতদ্বিবৃশ্বতে ভট্টলোলটপ্রভূতয়:—“স্থায়িনাং ৰিভাবেন উৎপাদ্যোৎপাদকভারপাদ অমুভাৰেন BBBBDDDBBBS BBBB BBBBDDDBBB DDDD BBB BBBBBBBS DDBB পুষ্টিচ্চেত্যর্থঃ –গোবিন্দঠকুরকৃত কাব্য-প্রদীপ, পৃ. ৬৩ (নির্ণয়সাগর সংস্করণ)।