পাতা:সাহিত্য-মীমাংসা - বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য ও রসতত্ত্ব ჯშა কবিকর্মজনিত রসামুভূতির বিশ্লেষণ প্রসঙ্গে আচার্য ভট্টনায়ক সাহিত্যের তিনটি বিশিষ্ট ব্যাপার বা function কল্পনা করিয়াছেন, ‘অভিধা’, ‘ভাবনা’, এবং ‘ভোগীকৃতি'। সামাজিকের রসোদ্বোধের প্রতি এই ব্যাপারত্ৰয়ের প্রত্যেকটিই অপরিহার্যভাবে অপেক্ষিত। আমরা যথাক্রমে এই “ তিনটি ব্যাপারের স্বরূপ বর্ণনা করিবার চেষ্টা করিব । । ‘অভিধা’ বা denotation—ইহা শব্দের ব্যাপার। এই ব্যাপারের বলেই কোন একটি বিশিষ্ট শব্দ একটি বিশিষ্ট অর্থের প্রতীতি জন্মাইয় থাকে । কবিকর্ম প্রথমত কতকগুলি বাক্যের সমষ্টি ব্যতীত আর কিছুই নহে, এবং বাক্যসমূহ পৃথক পৃথক শব্দেরই সমষ্টি মাত্র। স্বতরাং ওই সকল বিভিন্ন শব্দসংঘাত যখন আপন আপন ‘অভিধা’-শক্তির সাহায্যে স্ব স্ব অর্থের বোধ জন্মাইয়া দেয়, এবং সামাজিকগণ যখন ওই সকল অর্থের মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপন করিতে সমর্থ হয়, তখনই তাহদের অভীপিাত অর্থের প্রতীতি সম্ভব হইয়া থাকে । সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, কবি তাহার কাব্যরচনার দ্বারা সহৃদয়ের চিত্তে যে অভীষ্ট অর্থের প্রতীতি জন্মাইতে চাহেন, উহা কেবল শব্দের অভিধাশক্তির সাহায্যেই সম্ভবপর হয় । কিন্তু বাচ্যার্থবোধ তো কেবলমাত্র সহৃদয়ের কাব্যপাঠ অথবা নাট্যাভিনয়দর্শনের মুখ্য উদ্দেশ্য নয় । অামপ এ কথা বারংবার উল্লেখ করিয়াছি যে, সামাজিকের রসপ্রতীতিই সাহিত্য স্থষ্টির প্রধান লক্ষ্য। শুধু বাচার্থবোধের দ্বারা তো অলৌকিক অমুভূতি উদয়লাভ করিতে পারে না । ভট্টনায়ক সেই জন্য কপিকর্মের একটি বিলক্ষণ ব্যাপার কল্পনা কলিয়াছেন । ইহার নাম ভাবনা ব৷ সাধারণীকৃতি— ইংরেজীতে *IfzfČKE Tāīl z II universalisation I SU IH] পূর্বেই বলিয়াছি যে, সাহিত্যিক রসোদ্বোধের চারিটি পৃথক উপাদান স্বীকার করিতে হইবে— বিভাব, অমুভাব, স্থায়িভাব ও সঞ্চারিভাব—উহার অভিধেয় অর্থেরই শ্রেণীবিভাগমাত্র । কেন না, শব্দের অভিধাশক্তির দ্বারা যে সকল অর্থ প্রতীত হয়, তাহারা এই চাবিটি উপাদানের যে কোনও একটি শ্রেণীর